ডালাস কাউবয়স চিয়ারলিডার থেকে নিউ ইয়র্কের স্বপ্নপূরণ: ভিক্টোরিয়া কালিনার গল্প
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেশাদার খেলাধুলা জগতে, বিশেষ করে আমেরিকান ফুটবল-এর দলগুলির সমর্থনে চিয়ারলিডারদের এক বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
তেমনই একটি পরিচিত নাম হলো ডালাস কাউবয়স চিয়ারলিডারস। এই দলেরই এক সময়ের সদস্য ছিলেন ভিক্টোরিয়া কালিনা। সম্প্রতি, তাঁর জীবনযাত্রা নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। আসুন, জেনে নেওয়া যাক এই তরুণীর ডালাস থেকে নিউ ইয়র্ক পর্যন্ত স্বপ্নপূরণের গল্প।
ভিক্টোরিয়া কালিনা, ১৯৯৯ সালের ২৭ অক্টোবর টেক্সাসে জন্মগ্রহন করেন। তাঁর মা, টিনা কালিনাও ১৯৮০-এর দশকে ডালাস কাউবয়স চিয়ারলিডার ছিলেন। মায়ের পথ অনুসরণ করে, নাচের প্রতি ভালোবাসা থেকেই কালিনার এই জগতে আসা।
ছোটবেলা থেকেই তিনি চেয়েছিলেন ড্যালাস কাউবয়স দলের হয়ে চিয়ারলিডার হতে। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে, তিনি কঠোর প্রশিক্ষণ শুরু করেন। দীর্ঘ দশ বছর নাচের প্রশিক্ষণ শেষে, ২০১৮ সালে তিনি প্রশিক্ষণ শিবির থেকে বাদ পড়েন।
তবে, ২০১৯ সালে তিনি ডালাস কাউবয়স চিয়ারলিডার দলে যোগ দেন এবং ২০২৩ সাল পর্যন্ত দলের সদস্য ছিলেন।
পেশাদার চিয়ারলিডার হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি, কালিনা নেটফ্লিক্সের একটি তথ্যচিত্র ‘আমেরিকা’স সুইটহার্টস: ডালাস কাউবয়স চিয়ারলিডারস’-এর প্রথম সিজনেও অংশ নিয়েছিলেন। এই অনুষ্ঠানে তিনি তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের কিছু কঠিন দিক তুলে ধরেন, যেমন—বিষণ্ণতা এবং খাদ্যাভ্যাস জনিত সমস্যা।
এই বিষয়ে খোলামেলা কথা বলার জন্য দর্শক ও সমালোচকদের কাছে তিনি বিশেষভাবে প্রশংসিত হন।
চিয়ারলিডার হিসেবে পাঁচ বছর কাজ করার পর, কালিনা দল ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর তিনি তাঁর নাচের স্বপ্নকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যান।
তাঁর নতুন লক্ষ্য ছিল—নিউ ইয়র্কের বিখ্যাত ‘রেডিও সিটি রকেটস’-এর সদস্য হওয়া। এই উদ্দেশ্যে, তিনি নিউ ইয়র্কে পাড়ি জমান এবং সেখানকার প্রশিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন।
২০২৪ সালের জুন-জুলাই মাসে তিনি নিউ ইয়র্কে চলে আসেন এবং প্রশিক্ষণ শুরু করেন। যদিও, প্রথমবার সুযোগ হয়নি, তবে তিনি হাল ছাড়েননি। ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে রকেটসের হয়ে নাচের সুযোগ পাননি তিনি।
তবে, তাঁর আত্মবিশ্বাস অটুট। বর্তমানে তিনি নিউ ইয়র্কেই থাকছেন এবং নাচের প্রশিক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছেন। একইসঙ্গে তিনি সেখানে শিক্ষকতাও করেন।
ভিক্টোরিয়া কালিনার এই যাত্রা আমাদের শিক্ষা দেয়, স্বপ্ন পূরণের পথে বাধা আসতেই পারে, কিন্তু তা থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যেতে হয়। নিজের লক্ষ্যের প্রতি অবিচল থেকে, কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে যে কোনো কিছুই জয় করা সম্ভব।
আমরা তাঁর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানাই।
তথ্য সূত্র: পিপল