ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাওয়া বিলাসবহুল ‘বেয়াজিয়ান’ সুপারইয়ট অবশেষে উদ্ধার করা হয়েছে।
গত বছর ১৯শে আগস্ট, ইতালির সিসিলি উপকূলের কাছে এক শক্তিশালী ঝড়ে ৫৬ মিটার দীর্ঘ এই বিশাল নৌযানটি ডুবে যায়।
ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় ৭ জন প্রাণ হারান, যাদের মধ্যে ছিলেন ব্রিটিশ প্রযুক্তি ব্যবসায়ী মাইক লিঞ্চ এবং তার ১৮ বছর বয়সী মেয়ে হান্নাহ।
দীর্ঘ দশ মাস পর, উদ্ধারকারী দল সাগরের তলদেশ থেকে এটিকে টেনে তুলতে সক্ষম হয়েছে।
প্রায় ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে সম্পন্ন হওয়া এই উদ্ধার অভিযানটি নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ করা সম্ভব হয়েছে।
ঝড়ের সময় সমুদ্রের পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে, বাতাসের বেগ ছিল ঘূর্ণিঝড়ের সমান।
ঘটনার আকস্মিকতায় ১৫ জন নাবিক ও যাত্রী কোনোমতে জীবন নিয়ে ফিরে আসেন।
ডুবে যাওয়া এই ইয়টের মালিক ছিলেন লিঞ্চের স্ত্রী, আর এর আনুমানিক মূল্য ছিল প্রায় ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
সাধারণত, সুপারইয়টগুলো খুবই বিলাসবহুল নৌযান হিসেবে পরিচিত।
এগুলোর অভ্যন্তরে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকে এবং এগুলো প্রধানত ধনী ব্যক্তিরা ব্যবহার করেন।
উদ্ধারকারী দলের প্রধান জানান, এই ধরনের উদ্ধার অভিযান বেশ জটিল এবং ঝুঁকিপূর্ণ।
এই ঘটনার মাধ্যমে আবারও সমুদ্রপথে ভ্রমণের ঝুঁকির বিষয়টি সামনে চলে এসেছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সৃষ্ট এমন দুর্ঘটনাগুলোর ভয়াবহতা বুঝিয়ে দেয় যে, জীবন কতটা মূল্যবান।
তথ্য সূত্র: CNN