প্রিন্সেস কেট মিডলটনের ক্যান্সার থেকে সেরে ওঠার পথে প্রকৃতির সান্নিধ্য এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য এর গুরুত্ব বর্তমানে বিশেষভাবে আলোচিত হচ্ছে। সম্প্রতি, লেক ডিস্ট্রিক্টে স্কাউটদের সঙ্গে এক দিনের ভ্রমণে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে প্রকৃতির মাঝে সময় কাটানোর অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার পাশাপাশি, কীভাবে এটি তার আরোগ্য লাভের সহায়ক হয়েছে, সে সম্পর্কে কথা বলেন।
ব্রিটিশ স্কাউট প্রধান ডওয়েইন ফিল্ডস জানিয়েছেন, এপ্রিল মাসে প্রিন্সেস কেটের সঙ্গে ওই ভ্রমণে অংশ নেওয়ার সুযোগ হয়েছিল তার। তিনি বলেন, “কেট শুরু থেকেই সবার সঙ্গে অত্যন্ত স্বাভাবিকভাবে মিশে গিয়েছিলেন।” তিনি যে কারো সঙ্গে সহজেই সংযোগ স্থাপন করতে পারেন, যা তার একটি বিশেষ গুণ।
স্কাউটদের সঙ্গে আলাপে তিনি প্রকৃতির মাঝে সময় কাটানোর গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “আরোগ্য লাভের সময় আমি প্রকৃতির কাছাকাছি থাকতে পছন্দ করতাম, কারণ সেখানেই আমি শান্তি খুঁজে পেতাম।”
প্রিন্সেস কেট বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, প্রকৃতির সান্নিধ্যে সময় কাটানো তার এবং পরিবারের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও জানান, “আমরা প্রায়ই লেকে যাই।”
ফিল্ডস আরও জানান, “যখন কেউ নিজের সম্পর্কে কথা বলেন, তখন মনে হয় যেন তারা কিছু দিচ্ছেন, কিছু ভাগ করে নিচ্ছেন, শুধু নিচ্ছেন না। এটাই তার বিশেষত্ব।”
প্রিন্সেস কেটের শৈশবের স্মৃতিচারণ করে ফিল্ডস বলেন, “ছোটবেলায় বাবার সঙ্গে প্রকৃতির কাছাকাছি কাটানো সময়গুলো তিনি এখনও উপভোগ করেন। প্রকৃতির প্রতি তার এই ভালোবাসা বাবার কাছ থেকেই পাওয়া।” স্কাউটদের সঙ্গে কেটের এই আন্তরিকতা বিশেষভাবে অনুভূত হয়েছিল, কারণ তিনি তার আরোগ্য লাভের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা সবার সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলেন।
মানসিক স্বাস্থ্য বর্তমানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং কেট তা উপলব্ধি করেন। তিনি মনে করেন, প্রকৃতির কাছাকাছি যাওয়া মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার একটি সহজ উপায়। যুব সমাজের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রকৃতির ইতিবাচক প্রভাবের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমি মনে করি, এটি আমাদের সমাজের মানসিক স্বাস্থ্যের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়ক হতে পারে।”
প্রিন্সেস কেটের এই সফরে প্রকৃতির প্রতি তার গভীর ভালোবাসার প্রমাণ পাওয়া যায়। প্রকৃতির প্রতি তার এই আকর্ষণ শুধু নিজের জন্যই নয়, বরং তার সন্তানদের এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও তিনি এর গুরুত্ব অনুভব করেন।
তথ্য সূত্র: পিপল