জাওস: সিনেমাটি দেখার পর আজও সমুদ্রের ধারে যেতে ভয় লাগে!

পঞ্চাশ বছর আগে মুক্তি পাওয়া ‘জস’ (Jaws) সিনেমা: এক আতঙ্কের স্মৃতি।

সিনেমা মানুষের মনে গভীর প্রভাব ফেলে। কিছু সিনেমা আছে যা দর্শকদের মনে ভয় ধরিয়ে দেয়, আর সেই ভয় দীর্ঘকাল ধরে তাদের তাড়া করে।

স্টিভেন স্পিলবার্গ-এর ১৯৭৫ সালের সিনেমা ‘জস’ তেমনই একটি সিনেমা, যা মুক্তির পর দর্শকদের মনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল।

এই সিনেমাটি মুক্তির প্রায় পঞ্চাশ বছর পরেও, দর্শকদের মধ্যে সমুদ্র এবং সাঁতারের প্রতি এক ধরনের ভীতি তৈরি করে রেখেছে।

এই সিনেমার গল্পটি একটি বিশাল সাদা হাঙ্গরকে নিয়ে, যা মানুষের উপর আক্রমণ করে।

সিনেমাটি এতটাই সফল হয়েছিল যে এটি বক্স অফিসে বিশাল ব্যবসা করে এবং ‘সামার ব্লকবাস্টার’ ধারণাটির জন্ম দেয়।

সিনেমাটি শুধু একটি সাধারণ গল্প ছিল না, বরং এটি দর্শকদের মনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল, যা তাদের জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

সিনেমাটি মুক্তির পর অনেকেই সমুদ্রের গভীরে নামতে ভয় পেতে শুরু করে।

তাদের মনে হতে থাকে, সমুদ্রের নিচে হয়তো কোনো ভয়ঙ্কর প্রাণী লুকিয়ে আছে, যা তাদের ক্ষতি করতে পারে।

কারো কারো ক্ষেত্রে এই ভয় এতটাই তীব্র ছিল যে তারা সুইমিং পুলে নামতেও ভয় পেত।

এই সিনেমার প্রভাব কতটা গভীর ছিল, তা একটি ঘটনার মাধ্যমে বোঝা যায়।

১৯৭৫ সালে, উইচিটা শহরের দুইজন নিউরোলজিস্ট একটি ১৭ বছর বয়সী মেয়ের ঘটনা নিয়ে একটি নিবন্ধ লিখেছিলেন।

মেয়েটি সিনেমাটি দেখার পর “শার্কস, শার্কস” বলে চিৎকার করত এবং তার হাত-পা শক্ত হয়ে গিয়েছিল।

যদিও তার বসবাস ছিল এমন একটি জায়গায় যেখানে হাঙ্গরের আক্রমণের কোনো সম্ভাবনা ছিল না, তবুও সিনেমার দৃশ্যগুলো তার মনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল।

‘জস’ সিনেমাটি আসলে ভয়ের একটি প্রতীক, যা আমাদের সবার মনে লুকিয়ে থাকে।

এটি আমাদের জীবনের অনিশ্চয়তা এবং মৃত্যুর ভয়কে তুলে ধরে।

সিনেমাটি আমাদের সেই অজানা ভয়ের সঙ্গে পরিচয় করায়, যা হয়তো আমরা সবসময় অনুভব করি, কিন্তু প্রকাশ করতে পারি না।

এই সিনেমার গল্প শুধু একটি হাঙ্গরের গল্প নয়, বরং এটি আমাদের জীবনের গভীর কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলে।

এটি আমাদের ভয়, সম্পর্ক এবং জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের একটি উদাহরণ।

সিনেমাটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, জীবনের সবচেয়ে বড় ভয় হলো হয়তো আমাদের প্রিয়জনদের হারানোর ভয়।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *