প্যারিস হিলটন, যিনি এক সময়ের জনপ্রিয় তারকা এবং বর্তমানে একজন সফল উদ্যোক্তা, সম্প্রতি ৬৩ মিলিয়ন ডলারে কিনেছেন অভিনেতা মার্ক ওয়াহলবার্গের সাবেক একটি বিশাল বাড়ি। লস অ্যাঞ্জেলেসের বেভারলি পার্কে অবস্থিত এই বিশাল ম্যানশনটি হিলটনের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এর আগে লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলে তার মালিবুর বাড়িটি সম্পূর্ণভাবে পুড়ে গিয়েছিল।
জানা যায়, বাড়িটি প্রায় ৩০,৫০০ বর্গফুটের এবং এতে রয়েছে ১২টি বেডরুম। এই বিশাল সম্পত্তি কেনার কারণ হিসেবে জানা যায়, হিলটন তার পরিবারের জন্য একটি নতুন আবাস খুঁজছিলেন। এর আগে, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ওয়াহলবার্গ এবং তার স্ত্রী রিয়া ডারহাম এই বাড়িটি ৫৫ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করেছিলেন।
এই বিশাল অঙ্কের বিনিয়োগ নিয়ে অনেকেই আলোচনা করছেন। এই পরিমাণ অর্থ অন্য কোনো খাতে ব্যয় করা যেত কিনা, তা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। উদাহরণস্বরূপ, এই অর্থ সামাজিক কল্যাণমূলক কাজে বা শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যয় করা হলে সমাজের জন্য আরও বেশি উপকার হতে পারত।
বাড়িতে রয়েছে বাস্কেটবল ও টেনিসের মতো খেলার কোর্ট, একটি স্কেট পার্ক, একটি পাঁচ-হোল গলফ কোর্স, একটি সুইমিং পুল এবং আরও অনেক আধুনিক সুবিধা। প্রধান বাড়িতে একটি ওয়াইন সেলার, ২০টি বাথরুম, একটি গ্র্যান্ড এন্ট্রিওয়ে, একটি সিনেমা হল এবং একটি জিমও রয়েছে।
লস অ্যাঞ্জেলেসের বাজারে এই ধরনের বিলাসবহুল সম্পত্তির চাহিদা সব সময়ই থাকে, তবে এত বিশাল অঙ্কের বিনিয়োগ নিঃসন্দেহে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বর্তমানে, ১ ডলারের বিনিময় মূল্য প্রায় ১১৭ টাকার কাছাকাছি। সেই হিসেবে, ৬৩ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশি মুদ্রায় হিসাব করলে ৭০০ কোটি টাকার বেশি হবে।
এই ঘটনার পর অনেকে জানতে চাচ্ছেন, বাংলাদেশের আবাসন বাজারের সঙ্গে এর তুলনা করলে কেমন হবে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য বড় শহরেও এখন বিলাসবহুল ফ্ল্যাট এবং বাড়ির চাহিদা বাড়ছে। তবে, এই ধরনের বিশাল মূল্যের সম্পত্তির সঙ্গে এখানকার বাজারের তুলনা করলে অনেক পার্থক্য দেখা যায়।
লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলে হিলটনের বাড়িটি পুড়ে যাওয়ার ঘটনা বিশেষভাবে উল্লেখ করার মতো। এই ঘটনার পর তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি তার সন্তানদের নিয়ে মালিবুর স্মৃতিগুলো পুনরায় তৈরি করতে চান।
তথ্যসূত্র: আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম।
