খেলাধুলার জগতে ফ্র্যাঞ্চাইজির মূল্য আকাশচুম্বী, বিনিয়োগের নতুন দিগন্ত
বিশ্বজুড়ে খেলাধুলার ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মূল্য কয়েক বছরে ব্যাপক হারে বেড়েছে। বিশেষ করে বাস্কেটবল এবং আমেরিকান ফুটবলের মতো জনপ্রিয় খেলাগুলোতে এই প্রবণতা বিশেষভাবে দেখা যাচ্ছে।
লস অ্যাঞ্জেলেস লেকার্স বাস্কেটবল দলের উদাহরণ থেকেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়। ১৯৭৯ সালে জেরী বাস যখন এই দলটি কিনেছিলেন, তখন এর মূল্য ছিল ১০০ মিলিয়ন ডলারের কম। কিন্তু বর্তমানে দলটির বাজার মূল্য দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলারে!
খেয়াল করলে দেখা যায়, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এটি কত বড় লাভজনক একটা দিক। একদিকে যেমন খেলাধুলার জনপ্রিয়তা বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর দাম। বাস্কেটবলের সবচেয়ে বড় লিগ এনবিএ-এর দলগুলোর গড় মূল্যও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
১৯৯৫ সালে যেখানে একটি দলের গড় মূল্য ছিল ১০০ মিলিয়ন ডলারের সামান্য বেশি, সেখানে বর্তমানে তা প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এই বৃদ্ধি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশাল সুযোগ তৈরি করেছে।
একই চিত্র দেখা যায় আমেরিকান ফুটবলের শীর্ষ লিগ এনএফএলেও। এই লিগের দলগুলোর গড় মূল্যও কয়েকগুণ বেড়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, ১৯৯৫ সালে যেখানে একটি দলের গড় মূল্য ছিল ২০০ মিলিয়ন ডলারের কম, সেখানে এখন তা ৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। মিডিয়া স্বত্ব বা সম্প্রচার চুক্তি থেকে আসা বিশাল অঙ্কের অর্থই এই মূল্যবৃদ্ধির প্রধান কারণ।
খেলা সম্প্রচারের জন্য টেলিভিশন এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলো এখন কোটি কোটি ডলার খরচ করতে প্রস্তুত।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খেলাধুলার ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর এই মূল্যবৃদ্ধি একটি চলমান প্রক্রিয়া। ক্রীড়া সংস্থাগুলো তাদের মিডিয়া স্বত্ব আরও বেশি দামে বিক্রি করতে সক্ষম হচ্ছে, যা তাদের আয়ের প্রধান উৎস।
এর ফলে, ভবিষ্যতে এই দলগুলোর মূল্য আরও বাড়বে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশেও খেলাধুলার জনপ্রিয়তা বাড়ছে, বিশেষ করে ক্রিকেট এবং ফুটবলের ক্ষেত্রে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)-এর মতো টুর্নামেন্টগুলো জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এবং ভবিষ্যতে এদেরও ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মূল্য বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
খেলাধুলার জগতে বিনিয়োগের এই সুযোগ, দেশের অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন
