“Materialists” নামের নতুন একটি সিনেমা মুক্তি পেতে যাচ্ছে, যেখানে ভালোবাসার সংজ্ঞা এবং আর্থিক স্থিতিশীলতার মধ্যেকার সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
সিনেমায়, ড্যাকোটা জনসন অভিনীত লুসি নামের একজন সফল ম্যাচমেকারের গল্প বলা হয়েছে, যিনি অন্যদের জন্য ভালোবাসার সন্ধান করেন, কিন্তু নিজের জীবনে যখন ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে তোলার কথা আসে, তখন দ্বিধায় পড়ে যান।
সিনেমার গল্প অনুযায়ী, লুসিকে দুটি ভিন্ন পথের মধ্যে একটি বেছে নিতে হয়।
অন্যদিকে আছেন জন, যিনি লুসির প্রাক্তন প্রেমিক এবং একজন অভিনেতা হওয়ার জন্য সংগ্রাম করছেন।
জন ভালোবাসায় ভরপুর, কিন্তু আর্থিকভাবে ততটা স্থিতিশীল নন।
এই দুই পুরুষের মধ্যে কাকে বেছে নেবেন লুসি? এই দ্বিধা থেকেই সিনেমার মূল গল্পটি গড়ে উঠেছে।
“পিপল” পত্রিকার সম্পাদক বেইলি রিচার্ডস-এর মতে, লুসি যে কারও সঙ্গেই যান না কেন, একটি ক্ষেত্রে তার অপূর্ণতা থেকেই যাবে।
বেইলি মনে করেন, হয়তো লুসি এমন কাউকে বেছে নিতেন যিনি তাকে ভালোবাসতেন, কিন্তু আর্থিক দিক থেকে তেমন কিছুই দিতে পারতেন না।
অথবা, এমন কাউকে বেছে নিতে পারতেন যিনি তাকে ভালোবাসেন না, কিন্তু তার জীবনের সব চাহিদা পূরণ করতে পারতেন।
আমাদের সমাজে, বিশেষ করে বাংলাদেশে, ভালোবাসার সম্পর্কের ক্ষেত্রে আর্থিক নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
অভিভাবকদের প্রত্যাশা থাকে, তাদের সন্তান এমন কাউকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিক, যিনি ভালো রোজগার করেন এবং একটি সুন্দর জীবন দিতে সক্ষম।
তবে, “মেটেরিয়ালিস্টস” সিনেমাটি ভালোবাসার এই চিরাচরিত ধারণার বাইরে গিয়ে অন্য একটি দৃষ্টিকোণ তুলে ধরেছে।
সিনেমায় লুসি শেষ পর্যন্ত জনকে বেছে নেয়, যিনি ভালোবাসায় পরিপূর্ণ, কিন্তু আর্থিক দিক থেকে দুর্বল।
এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সিনেমাটি হয়তো বোঝাতে চেয়েছে, ভালোবাসাই সবকিছু নয়, আবার সবকিছুও।
লুসির এই দ্বিধা এবং তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দর্শককে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করে।
অনেকের মতে, লুসির এই পরিস্থিতি এমন, যেখানে তার কোনো পছন্দই হয়তো সম্পূর্ণ হতে পারে না।
সুতরাং, “মেটেরিয়ালিস্টস” সিনেমাটি ভালোবাসার জটিলতা এবং আধুনিক জীবনের নানা দিক নিয়ে আসা একটি আলোচনা।
সিনেমাটি একদিকে যেমন ভালোবাসার গুরুত্ব তুলে ধরে, তেমনই আর্থিক স্থিতিশীলতার প্রয়োজনীয়তাও স্মরণ করিয়ে দেয়।
সবশেষে, বেইলি রিচার্ডস-এর মতে, লুসির উচিত ছিল হয়তো কারও সঙ্গেই আবদ্ধ না হয়ে নিজের জন্য একটু সময় বের করা।
তথ্য সূত্র: পিপল