প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ এক তরুণীর পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্তে অনলাইনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে, যখন ওই তরুণী তার প্রেমিকের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মনোমালিন্য ও দূরত্ব অনুভব করেন।
প্রায় তিন বছর ধরে প্রেম করার পর, ওই তরুণীর অভিযোগ, শুরুতে তার প্রেমিক পরিবারের সদস্যরা তাকে আপন করে নিতে খুবই আগ্রহী ছিলেন। তারা একসঙ্গে ডিনার করা, শরীরচর্চা করা সহ বিভিন্নভাবে মিশেছিলেন। কিন্তু ধীরে ধীরে সম্পর্কে পরিবর্তন আসে।
তাদের আচরণে শীতলতা লক্ষ্য করা যায়। একদিন, প্রেমিকের ভাই ও তার স্ত্রী হাওয়াই যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানালে, তারা রাজি হন।
কিন্তু পরে জানানো হয় যে তারা ছোট একটি দলের সঙ্গে যাবেন, এবং তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে। এমনকি, তাদের সোশ্যাল মিডিয়াতেও ব্লক করে দেওয়া হয়, যা নিয়ে কোনো দুঃখ প্রকাশ বা ঘটনার ব্যাখ্যাও করা হয়নি।
আরেকটি ঘটনায়, পরিবারের সদস্যরা তাদের বৃহস্পতিবার রাতে আসতে বলেন, কিন্তু তারা যেতে পারেননি। পরে জানা যায়, সেদিনই তার প্রেমিকের ভাই ও তার স্ত্রী তাদের প্রথম সন্তানের আগমনের ঘোষণা করেছেন, যেখানে তারা উপস্থিত থাকতে পারেননি।
এই ঘটনাগুলো তরুণীকে হতাশ করে তোলে। তিনি তার প্রেমিকের সঙ্গে কথা বলেন এবং জানান যে, তিনি মনে করেন তার পরিবারের কাছে তাদের উপস্থিতির কোনো মূল্য নেই। তাদের বাড়িতে গেলে সবাই যেন চুপ হয়ে যায়।
এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে, তিনি আর তাদের পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না। এমনকি, তিনি তার ভাবী ননদের (sister-in-law) আসন্ন সন্তানের জন্য কোনো অভিনন্দনও জানাবেন না।
এই ঘটনার পর, তিনি রেডডিটের “Am I the A——” ফোরামে তার মতামত প্রকাশ করেন। সেখানে অনেকেই তার এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। তাদের মতে, কিছু ঘটনার জন্য পরিবারকে দায়ী করা যায় না।
যেমন, সন্তান আগমনের ঘোষণা পিছিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। আবার, ভাবী ননদকে অভিনন্দন না জানানোটা অনুচিত।
তবে, অনেকে তরুণীর প্রতি সহানুভূতিও দেখিয়েছেন। বিশেষ করে, হাওয়াই ভ্রমণের আমন্ত্রণ বাতিল করার ঘটনাটিকে তারা ভালোভাবে নেননি। তাদের মতে, এই বিষয়ে সরাসরি কথা বলা উচিত।
এই ঘটনার সূত্র ধরে, বাংলাদেশেও পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া বা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত ব্যক্তিগত হলেও, পারিবারিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এর প্রভাব অনেক গভীর হতে পারে।
তথ্য সূত্র: পিপল