ঘুমের মাঝে বাবার কাণ্ডে মেয়ের বিস্ফোরণ! তারপর…

বাবা ও মেয়ের মধ্যে মনোমালিন্য: ঘুমোতে যাওয়ার আগের ঘটনায় মেয়ের অভিমান

সম্প্রতি, এক ব্যক্তির কিশোরী মেয়ের সঙ্গে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়েছে, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে যখন মেয়েটি বন্ধুদের নিয়ে বাড়িতে একটি “স্লিপওভার”-এর আয়োজন করে।

জানা যায়, বাবার কিছু শর্ত ছিল, যা মেয়ে ও তার বন্ধুরা ভেঙে ফেলেছিল। এর ফলস্বরূপ, বাবা মেয়েটির বন্ধুদের বাড়ি পাঠিয়ে দেন এবং মেয়ে বাবার উপর “লজ্জিত করার” অভিযোগ এনে কথা বলা বন্ধ করে দেয়।

ঘটনার সূত্রপাত হয়, যখন ওই ব্যক্তি তার ১৭ বছর বয়সী মেয়ে আনয়ার জন্য বন্ধুদের নিয়ে “স্লিপওভার”-এর অনুমতি দেন। তিনি কিছু নিয়ম বেঁধে দেন, যেমন – রাত ১১টার পরে হৈ-চৈ করা যাবে না এবং তার ১৪ বছর বয়সী সৎ ছেলে নোয়ার ঘরে প্রবেশ করা যাবে না।

নোয়ার মা কয়েক বছর আগে মারা গেছেন এবং বাবা একাই তাকে মানুষ করছেন। নোয়া কিছুটা অন্তর্মুখী স্বভাবের এবং নিজের ব্যক্তিগত স্থান পছন্দ করে।

অভিযোগ অনুযায়ী, বাবা যখন রাত ১০টার দিকে মেয়েদের দেখাশোনা করতে যান, তখন তিনি তাদের নোয়ার ঘরে দেখতে পান। কয়েকজন বন্ধু নোয়ার বিছানায় বসে ছিল, একজন তার স্কেচবুক দেখছিল, আর অন্যরা তার জিনিসপত্র নিয়ে নাড়াচাড়া করছিল।

নোয়া এতে বেশ বিব্রত বোধ করছিল। এই দৃশ্য দেখে বাবা মেয়েদের ঘর থেকে বের হয়ে যেতে বলেন এবং তাদের অভিভাবকদের ফোন করে ডেকে পাঠান।

এরপরই আনয়া বাবার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং তাকে “লজ্জিত করার” অভিযোগ করে। বাবার মতে, মেয়েরা তার বেঁধে দেওয়া দুটি নিয়মই ভেঙেছে। বর্তমানে, আনয়া বাবার সঙ্গে কথা বলছে না।

বিষয়টি নিয়ে তিনি সামাজিক মাধ্যম রেডডিটে (Reddit) সাহায্য চেয়েছেন, যেখানে তিনি জানতে চেয়েছেন, তিনি ঠিক কাজ করেছেন কিনা।

রেডডিটের অন্যান্য ব্যবহারকারীরা বাবার এই পদক্ষেপকে সমর্থন করেছেন। তাদের মতে, মেয়ে তার নিজের ভুলের কারণেই মন খারাপ করেছে।

যেমন ব্যবহারকারী মনে করেন, বাবা হিসেবে তিনি নোয়ার অধিকার রক্ষা করেছেন এবং তার প্রতি ন্যায়বিচার করেছেন। তারা আরও বলেছেন, এই ঘটনার মাধ্যমে নোয়া বুঝতে পেরেছে যে বাবা তাকে এবং আনয়াকে সমান চোখে দেখেন।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *