আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থা Iberia, মাদ্রিদ ভিত্তিক, তাদের নেটওয়ার্ক এবং কার্যক্রমের বিস্তারে প্রায় ৬.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৭৫ হাজার কোটি টাকার সমান) বিনিয়োগ করার ঘোষণা দিয়েছে। এই বিশাল বিনিয়োগের ফলে, সংস্থাটি উত্তর আমেরিকা থেকে স্পেনের দিকে তাদের ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধি করবে, বিশেষ করে ফিলাডেলফিয়া থেকে ইউরোপের রুটে তারা তাদের ফ্লাইট বাড়াবে।
সম্প্রতি ফ্লোরিডার অরল্যান্ডো থেকে মাদ্রিদের উদ্দেশ্যে একটি নতুন রুটের সংযোজনও করা হয়েছে।
এই বিনিয়োগের মূল লক্ষ্য হল মাদ্রিদের ‘আডলফো সুয়ারেজ মাদ্রিদ-বারাজাস বিমানবন্দরকে’ (Adolfo Suárez Madrid–Barajas Airport) একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউরোপীয় কেন্দ্রে পরিণত করা।
Iberia-র প্রেসিডেন্ট এবং সিইও মার্কো সানসাভিনি জানিয়েছেন, তারা বর্তমানে যে ৪৫টি দীর্ঘ-পাল্লার বিমান পরিচালনা করে, সেই সংখ্যাটি বাড়িয়ে ৭০টিতে নিয়ে যেতে চান।
এর ফলে স্পেনের সঙ্গে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সংযোগ আরও সুদৃঢ় হবে।
সংস্থাটি তাদের ফ্লাইট নেটওয়ার্ক প্রসারিত করার পাশাপাশি যাত্রী অভিজ্ঞতার উন্নতিতেও জোর দিচ্ছে। তারা তাদের ইকোনমি এবং বিজনেস ক্লাসের আসনগুলির আধুনিকীকরণ করবে।
নতুন রুটের মধ্যে টরন্টো, ফিলাডেলফিয়া, মন্টেরে, রেসিফে, ফোরটালেজা এবং অরল্যান্ডো অন্যতম।
সময়ানুবর্তিতার ক্ষেত্রেও Iberia-র সুনাম রয়েছে।
ফেব্রুয়ারি মাসে, আন্তর্জাতিক পরামর্শক সংস্থা সিরিয়াম (Cirium)-এর বিচারে, Iberia ইউরোপের সবচেয়ে সময়ানুবর্তী এবং বিশ্বের দ্বিতীয় সময়ানুবর্তী এয়ারলাইন্স হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।
বর্তমানে, Iberia বোস্টন, ডালাস, নিউ ইয়র্ক এবং ওয়াশিংটন ডুলেস সহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করে।
Iberia ‘ওয়ানওয়ার্ল্ড’ জোটের সদস্য।
এই জোটে আরো আছে আলাস্কা এয়ারলাইন্স, আমেরিকান এয়ারলাইন্স, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, ক্যাথে প্যাসিফিক, ফিজি এয়ারওয়েজ, ফিনএয়ার, কান্তাস, কাতার এবং রয়্যাল জর্ডানিয়ান-এর মতো বিমান সংস্থা।
পর্যটন মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, স্পেন ইতিমধ্যেই পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে।
শুধু ২০২৪ সালেই, প্রায় ৯ কোটি ৪০ লক্ষ পর্যটকের আগমন ঘটেছে, যা সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে কিছুটা উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
তথ্যসূত্র: Travel and Leisure