মুক্তি পেয়েই গর্জে উঠলেন মাহমুদ খলিল! গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে ফের সরব

ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলায় তিন মাসের বেশি সময় ধরে আটক থাকার পর মুক্তি পাওয়া মাহমুদ খলিল ইসরায়েল ও গাজায় যুদ্ধ নিয়ে প্রতিবাদ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের একটি বিমান বন্দরে শনিবার সমর্থকদের ভালোবাসায় সিক্ত হন তিনি, যেখানে তার সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেসওম্যান অ্যালেক্সান্ড্রিয়া ওকাসিও-কর্তেজও।

আটকের পর মুক্তি পেয়ে বিমানবন্দরের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় খলিল বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র সরকার এই গণহত্যায় অর্থ যোগাচ্ছে এবং কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ও এতে বিনিয়োগ করছে।

তাই আমি আপনাদের সঙ্গে প্রতিবাদ চালিয়ে যাবো। তারা যদি আমাকে বন্দী করার হুমকি দেয়, এমনকি যদি তারা আমাকে মেরেও ফেলে, তবুও আমি ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলব।

নিউইয়র্কের ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যান ওকাসিও-কর্তেজ বলেন, মাহমুদ খলিলের আটক “প্রথম সংশোধনীর” লঙ্ঘন এবং এটি “প্রত্যেক আমেরিকানের জন্য অপমানজনক”।

তিনি আরও যোগ করেন, “ট্রাম্প প্রশাসন জানে যে তারা একটি আইনি লড়াইয়ে হেরে যাচ্ছে।

তারা আইন লঙ্ঘন করছে, এবং তারা তা জানে।

আফ্রিকা মহাদেশ থেকে আসা এই ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত যুবককে গত ২১শে জুন মুক্তি দেওয়া হয়।

তিনি একজন আইনসম্মত বাসিন্দা এবং তার স্ত্রী বন্দী থাকার সময়েই সন্তানের জন্ম দেন।

খলিল জানান, তিনি ডিটেনশন সেন্টারে তার সঙ্গে থাকা অভিবাসীদের পক্ষেও কথা বলবেন।

তিনি আরও বলেন, “আপনি নাগরিক হন বা অভিবাসী, এই দেশে আপনার কোনো অবৈধ পরিচয় নেই।

এর কারণে আপনি মানুষ হিসেবে কম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যান না।

উল্লেখ্য, কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন এই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময় কোনো আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়নি।

তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যারা ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন, তাদের দেশ থেকে বহিষ্কার করা উচিত, কারণ তাদের মতামতকে তারা “ইহুদিবিদ্বেষী” এবং “হামাস-পন্থী” মনে করে।

বিচারক মাইকেল ফারবিয়ার্জ বলেছেন, সরকার একজন আইনি বাসিন্দাকে আটক করে রাখতে পারবে না, যার দেশ ত্যাগের সম্ভাবনা নেই এবং কোনো সহিংসতার সঙ্গেও জড়িত নয়।

তবে সরকারের পক্ষ থেকে খলিলের মুক্তির বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানানো হয়েছে।

তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *