বিখ্যাত অভিনেত্রী জুডি গারল্যান্ড, যিনি “দ্য উইজার্ড অফ ওজ”-এর ডরোথি চরিত্রে অভিনয় করে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি লাভ করেছিলেন, তাঁর জীবনাবসান হয় আজ থেকে ৫৫ বছর আগে, ১৯৬৯ সালের ২২শে জুন।
মাত্র ৪৭ বছর বয়সে লন্ডনের একটি অ্যাপার্টমেন্টে ঘুমের ওষুধ অতিরিক্ত মাত্রায় সেবনের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়।
রুপালি পর্দার এই উজ্জ্বল নক্ষত্রের জীবন ছিল আলো ঝলমলে সাফল্যের, তবে ব্যক্তিজীবনে তিনি লড়াই করেছেন গভীর হতাশা, মাদক এবং খাদ্যাভ্যাস সংক্রান্ত সমস্যার সঙ্গে।
জুডি গারল্যান্ডের আসল নাম ছিল ফ্রান্সেস এথেল গাম।
১৯৩৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত “দ্য উইজার্ড অফ ওজ” ছবিতে ডরোথির চরিত্রে অভিনয় করে তিনি বিশ্বজুড়ে খ্যাতি লাভ করেন। এই ছবিতে তাঁর অনবদ্য অভিনয় আজও মানুষের মনে গেঁথে আছে।
এছাড়াও, “এ স্টার ইজ বর্ন” ছবিতে তাঁর অভিনয় ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছিল।
গারল্যান্ডের ব্যক্তিগত জীবন ছিল ঘটনাবহুল।
তিনি পাঁচবার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন।
তাঁর কন্যা, বিখ্যাত অভিনেত্রী ও গায়িকা লিজা মিনেল্লি, মায়ের মৃত্যুর কারণ হিসেবে তাঁর মানসিক অবসাদকে দায়ী করেন।
লিজা একবার বলেছিলেন, “মা যেন সবসময় একটা সুতোর ওপর হেঁটেছেন।” তাঁর মতে, মা কখনোই সত্যিকারের সুখ খুঁজে পাননি, কারণ তিনি মনে করতেন, সুখ মানেই বুঝি সবকিছুর শেষ।
জুডি গারল্যান্ডের মৃত্যু সংবাদে তাঁর অগণিত ভক্ত গভীর শোকাহত হয়েছিলেন।
তাঁর শেষকৃত্যে হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন।
জানা যায়, ম্যানহাটনের ফ্রাঙ্ক ই. ক্যাম্পবেল ফিউনারেল হোমে তাঁর কফিন দেখার জন্য প্রায় ২০,০০০ মানুষ এসেছিলেন।
জুডি গারল্যান্ডের প্রয়াণের পর তাঁর মরদেহ প্রথমে নিউ ইয়র্কের ফার্নক্লিফ সিমেট্রিতে সমাধিস্থ করা হয়।
পরে, তাঁর পরিবারের ইচ্ছানুসারে, ২০১৭ সালে তাঁর দেহাবশেষ লস অ্যাঞ্জেলেসের হলিউড ফরেভার সিমেট্রিতে স্থানান্তরিত করা হয়।
সেখানে তাঁর নামে একটি বিশেষ প্যাভিলিয়ন তৈরি করা হয়েছে, যেখানে তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও সমাধিস্থ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
জুডি গারল্যান্ডের কাজ বিনোদন জগতে গভীর প্রভাব ফেলেছে।
তিনি ৩৫টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন।
এছাড়াও, তিনি নিজের টেলিভিশন শো করেছেন এবং অসংখ্য লাইভ পারফর্ম করেছেন।
তাঁর “ওভার দ্য রেইনবো” গানটি আজও মানুষের হৃদয়ে গেঁথে আছে।
জুডি গারল্যান্ডের জীবন এবং কর্ম আজও মানুষকে আলোড়িত করে।
তাঁর অকাল প্রয়াণ ছিল চলচ্চিত্র জগতের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।
তাঁর অভিনয়, গান এবং সৌন্দর্য্যের স্মৃতি আজও অমলিন।
তথ্য সূত্র: পিপলস