ডালাস কাউবয়স চিয়ারলিডার্স, যারা তাদের মনোমুগ্ধকর নাচের জন্য সারা বিশ্বে পরিচিত, তাদের মাঠের বাইরের জীবন কেমন? সম্প্রতি জানা গেছে, এই সুন্দরীদের অনেকেই খেলাধুলার পাশাপাশি অন্যান্য পেশায়ও জড়িত।
তাদের জীবনযাত্রা অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা জোগায়।
নেটফ্লিক্স-এর জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘আমেরিকা’স সুইটহার্টস: ডালাস কাউবয়স চিয়ারলিডার্স’-এর দ্বিতীয় সিজনে তাদের এই দ্বৈত জীবনের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
শুধু খেলা বা নাচের প্রস্তুতিই নয়, তাদের ব্যস্ত থাকতে হয় অফিসের কাজেও। কেউ হিসাবরক্ষণ বিভাগে কাজ করেন, কেউ আবার ফ্যাশন ব্যবসা চালান।
কেউ ল’ ফার্মে বিলিং ডিরেক্টর, তো কেউ কাজ করছেন সেলস ম্যানেজার হিসেবে। এছাড়াও, তাদের মধ্যে অনেকে রূপচর্চা বিষয়ক কর্মী, ফুল বিক্রেতা, এমনকি ফাইনান্সিয়াল প্ল্যানিং-এর মতো পেশার সঙ্গেও যুক্ত।
চিয়ারলিডার্স-দের এই একাধিক পেশায় যুক্ত থাকার কারণ জানতে চাইলে তারা জানান, মূলত আর্থিক কারণেই তাদের এই অতিরিক্ত কাজের চাপ নিতে হয়।
তাদের মতে, শুধুমাত্র চিয়ারলিডিং করে জীবন ধারণ করা সম্ভব নয়। যদিও এই পেশা তাদের ভালোবাসার, তবুও জীবিকা নির্বাহের জন্য অন্য উপায় খুঁজে নিতে হয়।
তবে, সুখবর হলো, সম্প্রতি তাদের বেতন বেড়েছে।
আগে তারা প্রতি বছর প্রায় $৭৫,০০০ (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৮২ লক্ষ টাকার সমান) পেতেন। কিন্তু নতুন চুক্তির ফলে তাদের বেতন উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা তাদের জীবনযাত্রায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
চিয়ারলিডার্স-দের এই দ্বৈত জীবন সত্যিই কঠিন। একদিকে কঠোর অনুশীলনের চাপ, অন্যদিকে কর্মজীবনের ব্যস্ততা।
তাদের অনেকেই অফিসের কাজ শেষে সরাসরি অনুশীলনে যোগ দেন। সময় ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে তারা তাদের কাজগুলো সুন্দরভাবে সামলান।
তাদের পরিচালক কেলি ফিঙ্গ্লাসও মনে করেন, চিয়ারলিডার্স-দের এই বহুমুখী প্রতিভা তাদের আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।
ডালাস কাউবয়স চিয়ারলিডার্স-এর এই গল্প আমাদের সমাজের অনেক নারীর কাছে অনুপ্রেরণা যোগায়।
যারা একইসঙ্গে স্বপ্ন দেখেন এবং তা পূরণের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেন।
তথ্যসূত্র: পিপল
