জেন objectনিস্টন: অকপট স্বীকারোক্তি, আমি কাজপাগল!

জনপ্রিয় অভিনেত্রী জেনিফার অ্যানিস্টন: কর্মজীবনের চাপে ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য রক্ষার লড়াই

বিশ্বজুড়ে কর্মজীবী মানুষের জীবনে কাজের চাপ এবং ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার বিষয়টি একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জেনিফার অ্যানিস্টনও এর ব্যতিক্রম নন।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, কর্মজীবনের ব্যস্ততার মাঝে ব্যক্তিগত জীবনকে সময় দেওয়া তার জন্য বেশ কঠিন হয়ে পড়ে।

৫৬ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তিনি একজন ‘কাজের পোকা’ এবং নিজেকে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য সময় বের করতে প্রায়ই সংগ্রাম করেন।

যদিও তিনি জানেন, ব্যক্তিগত জীবনের জন্য সময় বের করা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে, যারা সৃজনশীল পেশায় জড়িত, তাদের জন্য এই ভারসাম্য রক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

কারণ একটানা কাজ করতে থাকলে জীবনের আনন্দগুলো উপভোগ করা কঠিন হয়ে পড়ে।

‘ফ্রেন্ডস’ খ্যাত এই অভিনেত্রী বর্তমানে অ্যাপল টিভি-র ‘দ্য মর্নিং শো’-এর চতুর্থ সিজনে কাজ করছেন।

এই মুহূর্তে কিভাবে কাজের চাপ কমিয়ে ব্যক্তিগত জীবনকে উপভোগ করা যায়, সেই চেষ্টা করছেন তিনি। এর জন্য ইমেইল এবং টেক্সট মেসেজের স্বয়ংক্রিয় উত্তর (auto reply) সেট করার কথা ভাবছেন, যেখানে লেখা থাকবে – ‘আমি ছুটিতে আছি, ডিসেম্বরে ফিরব’।

নব্বইয়ের দশকে ‘ফ্রেন্ডস’ এর মাধ্যমে পরিচিতি পাওয়া জেনিফার অ্যানিস্টন, অভিনয় ক্যারিয়ারের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত অসংখ্য চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন।

কাজের বাইরে নিজের জন্য সময় বের করার প্রসঙ্গে তিনি জানান, একটি নির্জন দিনই তার আদর্শ দিন।

যেখানে কোনো কাজের চাপ থাকবে না, ইচ্ছামতো সবকিছু করা যাবে।

নিজের যত্ন নেওয়ার গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে অ্যানিস্টন বলেন, জীবনের খারাপ মুহূর্তগুলো এড়িয়ে ভালো এবং ইতিবাচক বিষয়গুলোর প্রতি মনোযোগ দেওয়া উচিত।

একজন সফল অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিত হলেও, জেনিফার অ্যানিস্টনও যে কর্মজীবনের চাপে ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য রক্ষার জন্য প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছেন, তা অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা জোগায়।

আমাদের সমাজে, যেখানে কাজের প্রতি অতিরিক্ত মনোযোগ দেওয়ার প্রবণতা রয়েছে, সেখানে এই ধরনের উদাহরণ কর্মজীবীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *