শিরোনাম: অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর উদ্বেগ: স্বামীর ঘন ঘন ভ্রমণের চাকরি নেওয়ার প্রস্তাবে দ্বিধা
একজন অন্তঃসত্ত্বা নারী, যিনি যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন, তাঁর স্বামীর একটি নতুন চাকরির প্রস্তাব নিয়ে চিন্তিত। প্রস্তাবিত কাজটি কম বেতনের এবং এর জন্য স্বামীকে প্রচুর ভ্রমণ করতে হবে। সম্প্রতি স্বামী তাঁর আগের চাকরিটি হারিয়েছেন এবং বর্তমানে তিনি নতুন চাকরির সন্ধানে ছিলেন।
ওই নারীর মতে, তাঁর স্বামী নতুন চাকরির সুযোগটি নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত। কিন্তু তিনি বুঝতে পারছেন না যে, এই পরিস্থিতিতে এমন একটি চাকরি কিভাবে তাঁদের জন্য আদর্শ হতে পারে না। জানা যায়, স্বামীর আগের চাকরি চলে যাওয়ার পর তিনি ক্ষতিপূরণ হিসেবে ভালো একটা অর্থ পেয়েছিলেন। বর্তমানে স্ত্রী ভালো রোজগার করেন, তাই তিনিই পরিবারের প্রধান উপার্জনকারী।
মহিলার উদ্বেগের কারণ হলো, নতুন চাকরিটি হলে স্বামীকে অনেক বেশি সময় বাইরে কাটাতে হবে। এর ফলে তিনি একা থাকবেন এবং সন্তানের দেখাশোনা করার মতো আশেপাশে তেমন কোনো সাহায্যকারীও নেই। যেহেতু তিনি কর্মজীবী এবং তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম আসন্ন, তাই স্বামীর এই ধরনের চাকরি করাটা তাঁর কাছে বেশ সমস্যার মনে হচ্ছে।
এই বিষয়ে, তিনি যুক্তরাজ্যের একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘মামসনেট’-এর ‘আমি কি অযৌক্তিক?’ শীর্ষক আলোচনা বিভাগে তাঁর মতামত জানান। যেখানে অন্যান্য মহিলারা তাঁদের ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন এবং পরামর্শ চেয়ে থাকেন। সেখানে অনেকে ওই নারীর উদ্বেগের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন। তাঁদের মতে, এই পরিস্থিতিতে স্বামীর এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত হয়নি।
আলোচনা থেকে জানা যায়, ওই নারী তাঁর স্বামীর এই চাকরি করার প্রস্তাবের প্রথমদিকে ভালোভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেননি। যদিও তিনি তাঁর স্বামীর কর্মজীবনের এই নতুন পদক্ষেপকে সমর্থন করতে চান, তবে একটি সন্তানের আগমনের সময় এমন একটি চাকরি, যেখানে স্বামীকে সবসময় পাওয়া যাবে না, তা তাঁর কাছে বেশ উদ্বেগের কারণ।
সাধারণত, বাংলাদেশে পরিবারের সদস্যরা বিশেষ করে দাদা-দাদি, নানা-নানির মতো ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রা শিশুদের দেখাশোনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। কিন্তু ওই নারীর পাশে তেমন কোনো সাহায্যকারী না থাকায় তাঁর একাই সবকিছু সামলাতে হবে। তাই স্বামীর অনুপস্থিতি তাঁর জন্য একটি বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে।
তথ্য সূত্র: পিপল