প্রতিবেশী শিশুদের দৌরাত্ম্য থামাতে গিয়ে বিপাকে এক নারী। বাড়ির উঠোনে খেলা করা, বল ছুঁড়ে মারা এমনকি জানালায় দাঁড়িয়ে হৈচৈ করা—এসব থেকে বাঁচতে অবশেষে তিনি যখন তার সীমানা প্রাচীর তৈরি করলেন, তখন শুরু হলো নতুন সমস্যা।
প্রতিবেশীরা এসে জানালেন, প্রাচীরের কারণে তাদের গাড়ি পার্ক করতে অসুবিধা হচ্ছে।
ঘটনাটি ঘটেছে, যেখানে ওই নারী তার প্রতিবেশী শিশুদের আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে অবশেষে নিজের জমিতে একটি দেয়াল তৈরি করেন।
তার অভিযোগ ছিল, প্রতিবেশীর ছেলেমেয়েরা নিয়মিত তার উঠোনে এসে খেলা করত, যা তার শান্তি নষ্ট করত। ফুটবল খেলার সময় তাদের ছোড়া বল এসে প্রায়ই তার বাড়ির দেয়ালে লাগত।
এছাড়াও, তারা তার বাড়ির জানালার পাশে দাঁড়িয়ে চিৎকার করত, যা তার ছোট্ট সন্তানের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতো। এমন পরিস্থিতিতে তিনি দেয়াল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন।
কিন্তু দেয়াল তৈরি হওয়ার পর নতুন বিপত্তি।
প্রতিবেশীরা এসে জানান, দেয়ালের কারণে তাদের গাড়ি পার্ক করতে সমস্যা হচ্ছে। তাদের অভিযোগ, এখন তারা তাদের দুটি গাড়ি উঠোনে রাখতে পারছেন না, কারণ গাড়ির দরজা খোলার জায়গা থাকছে না।
ওই নারী জানান, প্রতিবেশী তাকে দেয়ালটি কিছুটা সরিয়ে নিতে অনুরোধ করেছেন, যাতে তাদের গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধা হয়।
কিন্তু দেয়াল সরালে তার নিজের দুটি গাড়ি পার্ক করার সমস্যা হবে। এখন তিনি দ্বিধায় পড়েছেন—প্রতিবেশীর অনুরোধ রাখা উচিত, নাকি নিজের সুবিধা বিবেচনা করা উচিত।
বিষয়টি নিয়ে তিনি একটি অনলাইন ফোরামে পরামর্শ চেয়েছেন।
সেখানে অনেকেই তাকে বলেছেন দেয়াল না সরানোর জন্য। তাদের যুক্তি, দেয়ালটি যেহেতু তার নিজের জমিতে তৈরি করা হয়েছে, তাই প্রতিবেশীর পার্কিংয়ের সমস্যার দায় তার নয়।
বরং শিশুদের নিয়ন্ত্রণ না করতে পারাই প্রতিবেশীর সমস্যা।
এই ঘটনাটি প্রতিবেশী সম্পর্কের জটিলতা এবং ব্যক্তিগত অধিকারের বিষয়টি সামনে নিয়ে আসে।
একদিকে যেমন প্রতিবেশী হিসেবে একে অপরের প্রতি সহযোগিতা ও সহমর্মিতা থাকতে হয়, তেমনি নিজের অধিকারের বিষয়েও সচেতন থাকতে হয়।
এই নারীর ক্ষেত্রে, শিশুদের দ্বারা সৃষ্ট সমস্যা থেকে বাঁচতে তিনি দেয়াল তৈরি করেছেন, কিন্তু এর ফলে প্রতিবেশীর জীবনে যে অসুবিধা সৃষ্টি হয়েছে, তা একটি জটিল পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
এই পরিস্থিতিতে উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধানে আসা যেতে পারে, যেখানে সবার সুবিধা বিবেচনা করা হবে।
তথ্য সূত্র: পিপল