সুসান বার্চ, যিনি নিউ ইয়র্ক শহরের রাতের দুনিয়ায় এক পরিচিত নাম, সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডে ফিরে এসেছেন। জুরিখের ‘মিউজিয়াম ফুর গেস্টালটুং’-এ তাঁর নতুন প্রদর্শনী ‘ট্রান্সফর্মেশন!’-এর উদ্বোধনে তিনি ছিলেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
এই প্রদর্শনীতে সুসানের ফ্যাশন এবং শৈলীর এক ঝলক দেখা যায়, যা দর্শকদের মধ্যে গভীর প্রভাব ফেলেছে।
সুইজারল্যান্ডে জন্ম নেওয়া সুসান বার্চ দীর্ঘদিন ধরে নিউ ইয়র্ক সিটিতে তাঁর কাজের মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করেছেন। তাঁর এই প্রদর্শনীটি যেন তাঁর নিজের দেশে ফিরে আসার উদযাপন।
প্রদর্শনীটি শুধু তাঁর পোশাকের সংগ্রহ নয়, বরং এটি পরিবর্তনের একটি উদযাপন, যেখানে পোশাক, রূপ এবং স্থানের মাধ্যমে আসা পরিবর্তনগুলো তুলে ধরা হয়েছে।
প্রদর্শনীটি জুরিখ প্রাইড ফেস্টিভ্যাল ২০২৫-এর সঙ্গে মিলে যায়, যা প্রতি বছর হাজারো মানুষকে আকৃষ্ট করে।
এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন এলজিবিটিকিউ+ সম্প্রদায়ের মানুষজন একত্রিত হন এবং নিজেদের মধ্যেকার আনন্দ ভাগ করে নেন।
উৎসবের সমাপ্তি হয় ২১শে জুন, জুরিখ শহরের কেন্দ্র দিয়ে একটি বিশাল শোভাযাত্রার মাধ্যমে এবং একটি বিনামূল্যে কনসার্টের মধ্য দিয়ে, যেখানে বিভিন্ন জনপ্রিয় শিল্পী পারফর্ম করেন।
প্রদর্শনীটি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সুসান জানান, নিজের কাজগুলো এভাবে উপস্থাপন করা তাঁর জন্য খুবই আবেগপূর্ণ ছিল।
তিনি বলেন, নিজের সৃষ্টিগুলোকে আবার নতুন করে দেখলে অনেক স্মৃতি মনে পড়ে যায়।
তাঁর মতে, এই প্রদর্শনী বর্তমান সময়ের প্রতিচ্ছবি, যেখানে অতীতের কিছু পোশাকের সঙ্গে নতুন ডিজাইনও রয়েছে।
সুসানের বন্ধু এবং সহকর্মী রুপল-এর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়েও কথা হয়।
রুপল-এর সঙ্গে কাজ করাটা তাঁর জন্য সবসময় আনন্দের।
সুসানের মতে, বর্তমান নাইটলাইফের জগৎ অনেক বদলে গেছে, বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে।
এখন মানুষ সবকিছু ঘরে বসেই করতে পারে, তাই বাইরে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা কমে গেছে।
তবে, তিনি এখনও বিশ্বাস করেন, একটি নাচের আসর মানুষকে একত্রিত করে এবং সেখানে সবাই একই সুরে নাচে।
সুসান বার্চ-এর মতে, তিনি তাঁর কাজকে ভালোবাসেন এবং অন্যদের একত্রিত হতে দেখে আনন্দ পান।
তিনি সবসময় চান, মানুষজন যেন নিজেদের মতো করে বাঁচতে পারে এবং নিজেদের প্রকাশ করতে পারে।
তথ্য সূত্র: পিপল