পোশাক নিয়ে দ্বন্দ্বে এক দম্পতির সম্পর্ক, স্বাধীনতা নাকি আপোসের প্রশ্ন?
যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী এক নারীর ব্যক্তিগত পোশাক পরিধানের স্বাধীনতা নিয়ে তাঁর সঙ্গীর আপত্তির জেরে তৈরি হয়েছে এক জটিল পরিস্থিতি। বিষয়টি নিয়ে তিনি সাহায্য চেয়েছেন একটি জনপ্রিয় অনলাইন ফোরামে।
ওই নারীর অভিযোগ, তিনি যখন বারান্দায় ছোট একটি টপ ও শর্টস পরে আসেন, তখন তাঁর সঙ্গী তাতে আপত্তি জানান। এমনকি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বারান্দায় রোদ পোহানোর ছবি পোস্ট করা নিয়েও তাঁর আপত্তি রয়েছে।
ওই নারীর ভাষ্যমতে, তাঁর বেড়ে ওঠা কিছুটা খোলামেলা পরিবেশে, যে কারণে তিনি পোশাকের ব্যাপারে রক্ষণশীল নন। গরমের দিনে আরামের জন্য হালকা পোশাক পরতেই তিনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
তাঁর মতে, শরীর তো একটি সাধারণ বিষয়। তাঁর সঙ্গী সম্ভবত তাঁর এই জীবনযাত্রার ধরনের সঙ্গে পরিচিত নন।
অন্যদিকে, ওই নারীর সঙ্গীর ধারণা, তাঁর এই ধরনের পোশাক পরা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি পোস্ট করা, সমাজের চোখে দৃষ্টিকটু। তিনি মনে করেন, এতে হয়তো অন্যদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করা হয়।
এই ঘটনার সূত্র ধরে প্রশ্ন উঠেছে, সঙ্গীর এই আচরণ কি তাঁর ব্যক্তিগত স্বাধীনতা খর্ব করার শামিল? নাকি সম্পর্কের খাতিরে কিছু বিষয়ে আপস করা উচিত?
অনলাইন ফোরামের আলোচনাগুলোতে অনেকেই এই নারীর প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, একজন মানুষের ব্যক্তিগত পোশাকের স্বাধীনতা থাকা উচিত এবং এক্ষেত্রে অন্য কারও হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।
তবে, সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, একটি সুস্থ সম্পর্কের জন্য দু’জনের বোঝাপড়া ও পারস্পরিক সম্মান অত্যন্ত জরুরি। এক্ষেত্রে দু’জনের রুচি ও পছন্দের মধ্যে যদি বিস্তর ফারাক থাকে, তাহলে আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধানে আসা দরকার।
হয়তো সঙ্গীর উদ্বেগকে সম্মান জানিয়ে পোশাকের ক্ষেত্রে কিছুটা পরিবর্তন আনা যেতে পারে, আবার নিজের পছন্দের প্রতিও অবিচল থাকা যেতে পারে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্ভর করে দু’জনের পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং সম্পর্কের মূল ভিত্তি কতটা মজবুত তার ওপর।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান সমাজে পোশাক পরিধান একটি সংবেদনশীল বিষয়। বিশেষ করে, পশ্চিমা সংস্কৃতি এবং আমাদের দেশের সংস্কৃতিতে এর ধারণা ভিন্ন। তাই, যুগলের মধ্যে এই ধরনের মতপার্থক্য দেখা দিলে, একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে একটি উপযুক্ত সমাধানে পৌঁছানো প্রয়োজন।
তথ্য সূত্র: People