৫ বছরের মেয়ের ঘুম নিয়ে মা-বাবার চরম সিদ্ধান্ত! শ্বশুরবাড়ির আবদার শুনে হতবাক সবাই

শিরোনাম: শাশুড়ি-শ্বশুরের আবদার, মেয়ের জন্য রাজি নন মা: আলোচনা নেটদুনিয়ায়

আজকালকার দিনে, সামাজিক মাধ্যম আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। তেমনই একটি ঘটনা সম্প্রতি আলোড়ন সৃষ্টি করেছে, যেখানে এক মা তাঁর শ্বশুর-শাশুড়ির একটি আবদার পূরণ করতে রাজি নন।

ঘটনাটি নিয়ে আলোচনা চলছে রেডডিট (Reddit)-এর একটি ফোরামে।

ওই মায়ের বক্তব্য অনুযায়ী, তাঁর শ্বশুর-শাশুড়ি তাঁদের পাঁচ বছর বয়সী নাতনিকে মাঝে মাঝেই নিজেদের কাছে রাতে রাখতে চান। কিন্তু মা চান না যে তাঁর মেয়ে অন্য কোথাও ঘুমোতে যাক।

এর কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, মেয়ের ঘুমের একটি নির্দিষ্ট রুটিন রয়েছে, যা বিঘ্নিত হতে পারে। তাছাড়া, শাশুড়ি-শ্বশুরের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক সবসময় মসৃণ নয় বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন।

স্বামীর বাবা (শ্বশুর) তাঁর সৎ বাবা। তাই তিনি কিছুটা দ্বিধা বোধ করেন।

মা জানিয়েছেন, তাঁর স্বামীও তাঁর এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত। তাঁরা দুজনেই চান যে মেয়ে নিজের ঘুমের সময়সূচী মেনে চলুক এবং পরিবারের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রাখুক।

কিন্তু এর পরেও, শাশুড়ি-শ্বশুর তাঁদের আবদার ছাড়তে নারাজ। তারা নাকি এখনো মেয়েকে রাতে নিজেদের কাছে রাখতে চান।

স্বামীর কাছে সরাসরি প্রস্তাব না পেলেও, মা-কে তাঁরা বিষয়টি নিয়ে বিরক্ত করছেন।

এই ঘটনার সূত্র ধরে রেডডিটের অন্যান্য ব্যবহারকারীরা তাঁদের মতামত ব্যক্ত করেছেন। অনেকে মায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং শাশুড়ি-শ্বশুরের এই ধরনের আচরণকে সন্দেহের চোখে দেখছেন।

তাঁদের মতে, বারবার একই আবদার করাটা ভালো লক্ষণ নয়। কেউ কেউ মনে করেন, এর পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে।

আলোচনায় আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে। অনেক ব্যবহারকারী মনে করেন, শিশুদের নিরাপত্তা সবার আগে।

তাই অভিভাবকদের উচিত, সন্তানের ব্যাপারে নিজেদের সিদ্ধান্তকে সব সময় প্রাধান্য দেওয়া। কারো কোনো ব্যাপারে জোরাজুরি করা, শিশুদের সঙ্গে একান্তে সময় কাটানোর জন্য জেদ করা—এগুলো উদ্বেগের কারণ হতে পারে।

তবে, অনেকে এও মনে করেন যে, এখানে হয়তো তেমন গুরুতর কিছু ঘটেনি। সম্ভবত, শাশুড়ি-শ্বশুর তাঁদের নাতনির সঙ্গে বেশি সময় কাটাতে চান এবং নিজেদের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিতে অভ্যস্ত।

সবশেষে, মা তাঁর সিদ্ধান্তে অনড় থাকার কথা জানিয়েছেন। তিনি মনে করেন, সন্তানের নিরাপত্তা এবং সুস্থ জীবনযাত্রা সবার আগে।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *