ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাওয়া একটি বিলাসবহুল প্রমোদতরী, যার কারণে সাত জন প্রাণ হারিয়েছে, সম্প্রতি উদ্ধার করা হয়েছে। গত বছর ইতালির সিসিলির উপকূলে ভয়াবহ ঝড়ের মধ্যে এই দুর্ঘটনা ঘটেছিল।
“বেয়েশিয়ান” নামের ৫৬ মিটার লম্বা এই প্রমোদতরীটি এখন তদন্তের জন্য টার্মিনি ইমেরেসের বন্দরে আনা হয়েছে।
গত বছরের ১৯শে আগস্ট, পালেরমোর কাছে, পোর্টিকোর কাছাকাছি এই ভয়ানক ঘটনাটি ঘটে। ব্রিটিশ প্রযুক্তি ব্যবসায়ী মাইক লিন্চ এবং আরও ছয়জন এই দুর্ঘটনায় নিহত হন।
লিন্চ, তাঁর কন্যা এবং আরও পাঁচজন বন্ধু সহ মোট ১৫ জন যাত্রী প্রাণে বাঁচতে সক্ষম হয়েছিলেন, যাদের মধ্যে নাবিক ও ক্রু সদস্যরা ছিলেন, তবে একজন বাবুর্চি ছিলেন না। জানা গেছে, লিন্চ তাঁর বিরুদ্ধে আনা জালিয়াতির অভিযোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার আনন্দ উদযাপন করতে বন্ধুদের নিয়ে নৌ ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন।
দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের জন্য ইতালীয় কর্তৃপক্ষ একটি পূর্ণাঙ্গ ফৌজদারি তদন্ত শুরু করেছে। ব্রিটিশ তদন্তকারীরাও একটি অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন, যেখানে বলা হয়েছে, তীব্র বাতাসের কারণে ইয়টটি উল্টে যায় এবং তা আর সোজা হতে পারেনি।
ঘটনার সময় বাতাসের গতি ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১৩০ কিলোমিটার।
তলিয়ে যাওয়া এই ইয়টটিকে সমুদ্রের গভীরতা থেকে তুলতে প্রায় তিন দিন সময় লেগেছে। সমুদ্রের তলদেশ থেকে এটিকে ধীরে ধীরে উপরে তোলার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।
ইয়টটির প্রধান mast বা বিশাল mastটি কেটে ফেলা হয়েছিল, যা এখন সমুদ্রের নিচে রয়েছে। এটি সম্ভবত ভবিষ্যতে সরানো হবে।
বর্তমানে, ইয়টটিকে বিশেষভাবে তৈরি একটি কাঠামোতে স্থাপন করা হবে, যা তদন্তকারীদের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ করে দেবে। তদন্তকারীরা এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনের চেষ্টা করছেন।
তথ্য সূত্র: CNN