চা বাগান থেকে শুরু করে সমুদ্র সৈকত, গ্রীষ্মকালে ভ্রমণের জন্য আরামদায়ক পোশাক।
গ্রীষ্মকাল মানেই ভ্রমণের মরসুম। গরম আর আর্দ্রতা এড়িয়ে আরামদায়ক পোশাক বাছাই করাটা খুব জরুরি। পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে আবহাওয়া, গন্তব্য এবং আপনার ব্যক্তিগত রুচির বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।
আজকের লেখায় গ্রীষ্মকালে ভ্রমণের জন্য কিছু প্রয়োজনীয় পোশাকের ধারণা দেওয়া হলো, যা আপনাকে একইসঙ্গে দেবে আরাম এবং ফ্যাশনের ছোঁয়া।
১. আরামদায়ক পোশাক:
গরমের জন্য সুতির পোশাক সেরা। সুতির পোশাক সহজে বাতাস চলাচল করতে দেয়, যা গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। ঢিলেঢালা পোশাক, যেমন – কুর্তি, টপস বা পালাজো, গরমের জন্য আদর্শ।
এছাড়া লিনেন কাপড়ের পোশাকও পরতে পারেন। লিনেন কাপড় গরমকালে আরামদায়ক এবং সহজে ভাঁজ পরে না।
২. সঠিক রং নির্বাচন:
গরমকালে হালকা রঙের পোশাক পরার চেষ্টা করুন। সাদা, হালকা নীল, হালকা সবুজ, বা হলুদ – এই ধরনের রং সূর্যের তাপ প্রতিফলিত করে এবং শরীরকে ঠান্ডা রাখে।
গাঢ় রংয়ের পোশাক এড়িয়ে চলুন, কারণ তারা তাপ শোষণ করে এবং গরমের অনুভূতি বাড়ায়।
৩. আচ্ছাদন:
ভ্রমণে বের হলে ত্বককে সরাসরি সূর্যের আলো থেকে বাঁচাতে লম্বা হাতাযুক্ত পোশাক উপযুক্ত। এছাড়াও, একটি পাতলা ও হালকা ওড়না বা স্কার্ফ রাখতে পারেন, যা রোদ থেকে আপনার ঘাড় এবং ত্বককে রক্ষা করবে।
৪. উপযুক্ত জুতা:
ভ্রমণের সময় আরামদায়ক জুতা নির্বাচন করা অপরিহার্য। অতিরিক্ত হাঁটাচলার জন্য ফ্ল্যাট স্যান্ডেল, হালকা স্নিকার বা ওয়াকিং শু পরা যেতে পারে।
লম্বা পথ পাড়ি দেওয়ার সময় আরামের জন্য স্পোর্টস স্যান্ডেলও ভালো বিকল্প।
৫. অনুষঙ্গ:
রোদর তেজ থেকে বাঁচতে টুপি বা ক্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও, রোদচশমা আপনার চোখের জন্য খুব দরকারি।
একটি ছোট ব্যাগ, যেখানে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, যেমন – ফোন, ওয়ালেট, সানস্ক্রিন, রাখা যেতে পারে।
৬. পোশাকের দোকান ও অনলাইন প্ল্যাটফর্ম:
বাংলাদেশে বিভিন্ন পোশাকের দোকানে আরামদায়ক পোশাক পাওয়া যায়। আড়ং, সেইলর, ওয়েস্টেক্স, এবং ক্যাটস আই-এর মতো ব্র্যান্ডগুলি গ্রীষ্মকালের জন্য উপযুক্ত পোশাক সরবরাহ করে।
অনলাইন শপিংয়ের জন্য Ajkerdeal, Daraz, অথবা দেশীয় ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলি দেখতে পারেন।
এই গরমে ভ্রমণের জন্য সঠিক পোশাক নির্বাচন করে, আপনি আপনার ভ্রমণকে আরও আনন্দদায়ক করে তুলতে পারেন।
তথ্য সূত্র: Travel and Leisure