গাজায় ত্রাণ বিতরণের সময় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার ভোরে মধ্য গাজায় সাহায্য আসার অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনী ও ড্রোন থেকে গুলি চালানো হয়। প্রত্যক্ষদর্শী ও হাসপাতাল সূত্রে এই খবর জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সালাহ আল-দিন সড়কের কাছে ত্রাণ আসার জন্য অপেক্ষা করছিলেন বহু ফিলিস্তিনি। সেসময় ইসরায়েলি বাহিনী তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের আল-আওদা হাসপাতালে হতাহতদের আনা হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে অনেকে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৪৬ জনের বেশি, যাদের মধ্যে ৬২ জনের অবস্থা গুরুতর। তাদের অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
আহতদের আর্তনাদে এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। ঘটনার পর সেখানে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। আহতদের উদ্ধারে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। দেইর আল-বালাহ শহরের আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে একই ঘটনায় নিহত ৬ জনের মরদেহ আনা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী আহমেদ হালাওয়া জানান, “এটি ছিল একটি গণহত্যা। ট্যাংক ও ড্রোন থেকে নির্বিচারে গুলি চালানো হয়, এমনকি যখন আমরা পালিয়ে যাচ্ছিলাম তখনও তারা গুলি ছুড়েছে। অনেকেই হয় শহীদ হয়েছেন, না হয় আহত হয়েছেন।”
অন্য একজন প্রত্যক্ষদর্শী হোসাম আবু শাহাদা বলেন, “ড্রোনগুলো প্রথমে ভিড়ের ওপর নজর রাখছিল, এরপর ট্যাংক ও ড্রোন থেকে গুলি চালানো হয়। মানুষজন জীবন বাঁচাতে ছোটাছুটি শুরু করে।”
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে প্রায় ৫৬ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা অর্ধেকের বেশি।
তবে, নিহতদের মধ্যে বেসামরিক ও যোদ্ধা কতজন, সেই হিসাব আলাদাভাবে জানায়নি মন্ত্রণালয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয় এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস