ক্যান্সারের সঙ্গে পাঁচ বছর লড়াইয়ের পর, মাত্র ৩০ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ট্যানার মার্টিন। তাঁর মৃত্যুর খবরটি জানা যায়, তাঁর স্ত্রী শে রাইটের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে।
ট্যানার তাঁর মৃত্যুর আগে একটি ভিডিও রেকর্ড করে গিয়েছিলেন, যেখানে তিনি নিজের মৃত্যুর খবর জানান।
২০২০ সালে ২৫ বছর বয়সে কোলন ক্যান্সার ধরা পড়ার পর থেকেই ট্যানার তাঁর অসুস্থতা এবং জীবন সংগ্রামের কথা সামাজিক মাধ্যমে সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিতেন। তাঁর এই কঠিন সময়ে পাশে ছিলেন স্ত্রী শে।
সম্প্রতি, তাঁদের জীবনে আসে এক নতুন অতিথি, কন্যাসন্তান। মেয়ের জন্মের মাত্র ৪১ দিনের মাথায় ট্যানারের এই মৃত্যু শোকের ছায়া ফেলেছে পরিবারে।
ভিডিও বার্তায় ট্যানার তাঁর জীবনকে উপভোগ করার কথা বলেন এবং সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি জানান, মৃত্যুর পরে যদি কিছু থাকে, তবে তিনি সেখানে প্রিয়জনদের সঙ্গে মিলিত হতে চান।
তিনি তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি ভালোবাসা জানান এবং তাঁদের কাছ থেকে পাওয়া সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
ট্যানার তাঁর শেষ ইচ্ছের কথা জানিয়ে গিয়েছেন। তিনি তাঁর পরিবার, বিশেষ করে স্ত্রী এবং মেয়ের ভবিষ্যতের জন্য আর্থিক সহায়তার আবেদন করেছেন।
সেই লক্ষ্যে একটি ‘গোফান্ডমি’ (GoFundMe) ক্যাম্পেইনও খোলা হয়েছে। ক্যান্সার চিকিৎসার সময়ে ট্যানারের শারীরিক অবস্থার কথা নিয়মিতভাবে সামাজিক মাধ্যমে তুলে ধরা হতো।
তাঁর আরোগ্য লাভের জন্য প্রার্থনা করতেন অগণিত অনুরাগী।
ট্যানার এবং শে তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনের নানা মুহূর্ত সামাজিক মাধ্যমে সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিতেন। তাঁদের এই যাত্রা অন্যদের কাছে সাহস জুগিয়েছে এবং এক শক্তিশালী কমিউনিটি তৈরি করেছে।
তাঁদের ভালোবাসার গল্প, ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই, এবং অবশেষে এই বেদনাদায়ক পরিণতি—সবকিছুই যেন এক গভীর শোকের সৃষ্টি করেছে।
ট্যানারের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ তাঁর পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি সমবেদনা।
তথ্য সূত্র: পিপল