প্যারিসের বুকে নতুন এক আকর্ষণ, ‘সাক্স প্যারিস’ হোটেল, যা বিলাসবহুল অভিজ্ঞতার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। যারা ফ্রান্স ভ্রমণে যেতে চান, তাদের জন্য এই খবরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
হিলটনের অধীনস্থ এলএক্সআর হোটেলস অ্যান্ড রিসোর্টস-এর এই নতুন সংযোজন পর্যটকদের মন জয় করতে প্রস্তুত।
প্যারিসের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এই হোটেলটি, মূলত পুরনো একটি ঐতিহাসিক ভবনে তৈরি করা হয়েছে। এর স্থাপত্যশৈলী দেখলে এক মুহূর্তের জন্য হলেও চোখ জুড়িয়ে যায়।
এই হোটেলে রয়েছে ১১৮টি অত্যাধুনিক কক্ষ ও স্যুট। প্রতিটি কক্ষের ডিজাইন করা হয়েছে রুচিশীলতার সঙ্গে, যা অতিথিদের আরামদায়ক অনুভূতি দেবে।
এখানকার বাথরুমগুলো বিশেষভাবে সজ্জিত, যা মার্বেল পাথরের কারুকার্য দ্বারা সজ্জিত।
হোটেলের প্রধান আকর্ষণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো এর ছাদের উপরে অবস্থিত সুইমিং পুল, যেখান থেকে আইফেল টাওয়ারের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করা যায়। যারা ছবি তুলতে ভালোবাসেন, তাদের জন্য এই স্থানটি হতে পারে অসাধারণ।
এছাড়াও, এখানে রয়েছে ‘লে সাক্স’ নামক একটি রেস্টুরেন্ট, যেখানে আপনি ফ্রেঞ্চ খাবারের স্বাদ নিতে পারবেন। সুস্বাদু খাবারের পাশাপাশি, এখানকার পরিবেশও মুগ্ধ করার মতো।
হোটেলের ভেতরের অংশে রয়েছে ‘এল আইকনিক গ্যালারি’, যেখানে ফ্যাশন শো এবং বিভিন্ন ব্যক্তিগত ডিনার পার্টির আয়োজন করা হয়ে থাকে। এখানে আধুনিক শিল্পকর্মের এক চমৎকার প্রদর্শনী দেখা যায়।
যারা শরীরচর্চা করতে ভালোবাসেন, তাদের জন্য রয়েছে অত্যাধুনিক সরঞ্জাম সমৃদ্ধ একটি ফিটনেস সেন্টার। এছাড়া, স্পা-তে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ম্যাসাজ এবং ফেসিয়াল নেওয়ার সুযোগ।
এই হোটেলে পরিবার এবং শিশুদের জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। এছাড়া, পোষা প্রাণী সাথে নিয়ে আসা অতিথিদের জন্যেও রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।
প্যারিসের ৭ম অ্যারোন্ডিসমেন্টে অবস্থিত এই হোটেলটি ভ্রমণকারীদের জন্য খুবই সুবিধাজনক। এখানকার মেট্রো স্টেশনগুলো থেকে প্যারিসের অন্যান্য দর্শনীয় স্থানগুলোতে সহজে যাওয়া যায়।
যারা কেনাকাটা করতে ভালোবাসেন, তাদের জন্য কাছেই রয়েছে বিখ্যাত ‘লে বন মার্শে’ ডিপার্টমেন্টাল স্টোর।
বর্তমানে, ‘সাক্স প্যারিস’-এ থাকার খরচ শুরু হয় প্রায় ৬৪,০০০ টাকা (পরিবর্তনশীল)। যারা প্যারিসে বিলাসবহুল জীবন উপভোগ করতে চান, তাদের জন্য এই হোটেল একটি আদর্শ জায়গা।
ফ্রান্সে যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশী পর্যটকদের জন্য এই হোটেল হতে পারে একটি চমৎকার ঠিকানা।
ভিসা সংক্রান্ত তথ্যের জন্য, ফ্রান্স দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করুন।
তথ্য সূত্র: ট্র্যাভেল অ্যান্ড লেজার