যুক্তরাষ্ট্রের মেইন অঙ্গরাজ্যের একটি পাহাড়ে হাইকিং করতে গিয়ে বাবার মৃত্যুর কারণ অবশেষে জানা গেছে। জানা গেছে, প্রতিকূল আবহাওয়ার শিকার হয়ে হাইকিং করার সময় হাইপোথার্মিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান ৫৮ বছর বয়সী টিম কেইডারলিং।
তাঁর মেয়ে ২৮ বছর বয়সী এস্থার কেইডারলিং-এর মৃত্যু হয় পাহাড় থেকে পরে গুরুতর আঘাত পাওয়ার কারণে।
গত ১ জুন তারিখে, বাবা ও মেয়ে মেইনের সবচেয়ে উঁচু পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট কাটাতে উঠার জন্য অ্যাবোল ক্যাম্পগ্রাউন্ড থেকে যাত্রা শুরু করেন। এরপর থেকেই তাঁদের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলো না।
৩ জুন তারিখে টিম কেইডারলিং-এর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরের দিন, ৪ জুন তারিখে এস্থার কেইডারলিং-এর মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায়। মেইন রাজ্যের অভ্যন্তরীণ মৎস্য ও বন্যপ্রাণী বিভাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ঘটনার সময় তীব্র বাতাস ছিল, যার গতি ছিল ঘণ্টায় প্রায় ৬৪ কিলোমিটার। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেই টিম ও এস্থার তাঁদের পর্বতারোহণ চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
মেইনের প্রধান মেডিকেল পরীক্ষকের কার্যালয় থেকে জানা গেছে, অতিরিক্ত ঠান্ডা বা হাইপোথার্মিয়ার কারণে টিম কেইডারলিং-এর মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, এস্থার কেইডারলিং-এর শরীরে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, পাহাড় থেকে পরে যাওয়ার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এস্থার কেইডারলিং-এর মৃতদেহ ক্যাটhedral Cut-off Trail-এর নিচের একটি বরফের স্তূপের মধ্যে পাওয়া গিয়েছিল।
মাউন্ট কাটাতে ওঠা একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পথটি আট থেকে বারো ঘণ্টার একটি ট্রেকিং রুট।
নিহত টিম ও এস্থার নিউ ইয়র্কের আলস্টার পার্কের বাসিন্দা ছিলেন। বাবা ও মেয়ের এই মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তাঁদের পরিবারে।
উদ্ধারকাজে মেইন ফরেস্ট সার্ভিস, মেইন এসোসিয়েশন অফ সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ ভলেন্টিয়ার্স এবং মেইন ন্যাশনাল গার্ডের হেলিকপ্টার ও অন্যান্য উদ্ধারকারী দল সহায়তা করেছে।
তথ্য সূত্র: পিপল