ভিটিলিগো আক্রান্ত নারীদের ভালোবাসায় আবেগাপ্লুত উইনি হার্লো!

উইনি হার্লো, যিনি একজন মডেল এবং সৌন্দর্য উদ্যোক্তা, সম্প্রতি এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।

এই সাক্ষাৎকারে, তিনি তাঁর নিজের সৌন্দর্য ব্র্যান্ড ‘কে স্কিন’-এর বিষয়ে কথা বলছিলেন, পাশাপাশি তাঁর মাদাম তুসো’র মোমের মূর্তি উন্মোচন নিয়েও আলোচনা করেন।

তবে আলোচনার মাঝে অপ্রত্যাশিতভাবে আসে একটি বিষয়, যা তাঁকে গভীরভাবে ছুঁয়ে যায়।

সেটি হলো, ভিটিলিগো (vitiligo) রোগে আক্রান্ত নারীদের পাঠানো কিছু ভিডিও বার্তা।

ভিটিলিগো, একটি অটোইমিউন রোগ, যার কারণে ত্বকের কিছু অংশ সাদা হয়ে যায়।

এই রোগে আক্রান্ত নারীরা উইনি হার্লোকে তাঁদের অনুপ্রেরণা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

তাঁদের চোখে, উইনি হার্লো একজন সাহসিনী, যিনি তাঁদের মতো মানুষের কাছে সৌন্দর্যের এক নতুন সংজ্ঞা দিয়েছেন।

ভিডিও বার্তায় তাঁরা জানিয়েছেন, উইনি তাঁদের আত্মবিশ্বাসের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন।

ভিডিওগুলি দেখার পর, হার্লো বলেন, “আমি সবসময় একজন বড় বোনের অভাব অনুভব করেছি।

আর এখন মনে হচ্ছে, আমি সেই বড় বোন হয়েছি, যা আমি সবসময় চেয়েছি।

তিনি আরও যোগ করেন, “আমি আমার মতো করে বাঁচি, নিজের শক্তিতে বিশ্বাস রাখি, এবং এটা দেখে যদি আরও অনেকে নিজেদের ভালোবাসতে শেখে, তবে আমার সব কাজ সার্থক হবে।

হার্লোর মতে, ভিন্নতা একটি বিশেষ শক্তি।

প্রত্যেক মানুষ আলাদা, এবং এই ভিন্নতাকে ভালোবাসা উচিত।

তিনি মনে করেন, যদি ছোটবেলায় কেউ তাঁকে শুধু স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে দিত, তাহলে হয়তো অনেক কিছুই অন্যরকম হতো।

তিনি চান, সবাই যেন মনে রাখে, ভিন্ন হওয়াটাই আসল সৌন্দর্য।

২০১৪ সালে ‘আমেরিকা’স নেক্সট টপ মডেল’ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে পরিচিতি পাওয়া উইনি হার্লো, ফ্যাশন জগতে নিজের স্থান তৈরি করেছেন।

তাঁর কথায়, “আমি চেয়েছিলাম, আমি যেন কখনোই পিছিয়ে না পড়ি।

আমি সাধারণ একটি পরিবার থেকে এসেছি, এবং আমার লক্ষ্য ছিল মা ও বোনের দেখাশোনা করা, বাবার গর্ব হওয়া।

উইনি হার্লোর এই অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে, নিজের প্রতি বিশ্বাস রেখে সমাজের চোখে ভিন্ন হওয়া মানুষদেরও পথ দেখানো যায়।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *