প্রখ্যাত সুরকার ল্যালো শিফরিনের প্রয়াণ: চলচ্চিত্র জগতে শোকের ছায়া!

বিখ্যাত সুরকার ল্যালো শ্যাফ্রিন, যিনি ‘মিশন: ইম্পসিবল’ থিম সং তৈরি করে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি লাভ করেছিলেন, ৯৩ বছর বয়সে মারা গেছেন। গত ২৬শে জুন, বৃহস্পতিবার তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

সিনেমা জগতে তাঁর অবদান অবিস্মরণীয়।

আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেসে জন্ম নেওয়া শ্যাফ্রিন সঙ্গীতের এক বর্ণময় জগতে বেড়ে ওঠেন। তাঁর বাবা ছিলেন Teatro Colon Opera-র একজন বেহালাবাদক।

ছোটবেলা থেকেই পিয়ানোতে তাঁর হাতেখড়ি হয়। পরবর্তীতে তিনি বিখ্যাত শিল্পী অ্যাস্টর পিয়াজোলা-র সঙ্গে কাজ করেছেন এবং প্যারিসে অনুষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক জ্যাজ উৎসবে আর্জেন্টিনার প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

সঙ্গীতের প্রতি তাঁর এই গভীর ভালোবাসা তাঁকে হলিউডের আলোয় নিয়ে আসে। সেখানে তিনি ‘ডার্টি হ্যারি’র মতো সিনেমায় সুর করে খ্যাতি অর্জন করেন।

ক্লint ইস্টউড অভিনীত এই সিনেমাগুলোর অ্যাকশন দৃশ্যগুলোতে শ্যাফ্রিনের সুর এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে, যা দর্শকদের আজও মুগ্ধ করে।

‘মিশন: ইম্পসিবল’ টেলিভিশন সিরিজের থিম সং তৈরি করে তিনি বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পান। এই সুরের জাদু পরবর্তীতে টম ক্রুজ অভিনীত সিনেমা সিরিজেও একইভাবে ব্যবহৃত হয়েছে, যা আজও জনপ্রিয়তার শীর্ষে।

শুধু তাই নয়, ১৯৬৭ সালের ‘কুল হ্যান্ড লুক’, ১৯৭৩ সালের ‘এন্টার দ্য ড্রাগন’, এবং ১৯৭৯ সালের ‘অ্যামিটিভিলে হরর’-এর মতো সিনেমায় তাঁর সুর দর্শকদের মন জয় করেছে।

শ্যাফ্রিনের সঙ্গীত শুধু সিনেমার পর্দাতেই সীমাবদ্ধ ছিল না। তাঁর ‘ডানুব ইনসিডেন্ট’ গানটি আধুনিক অনেক শিল্পী ব্যবহার করেছেন, যা তাঁর সঙ্গীতের স্থায়ী প্রভাবের প্রমাণ।

সঙ্গীত জগতে অসামান্য অবদানের জন্য ২০১৮ সালে তিনি একটি সম্মানসূচক অস্কার লাভ করেন। ল্যালো শ্যাফ্রিনের প্রয়াণে চলচ্চিত্র ও সঙ্গীত জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি হলো।

তাঁর স্ত্রী ডোনা এবং তিন সন্তান – উইলিয়াম শ্যাফ্রিন, ফ্রান্সেস শ্যাফ্রিন, রায়ান শ্যাফ্রিন, ও চার নাতি-নাতনি রয়েছেন।

তথ্যসূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *