যুক্তরাষ্ট্রের আরিজোনা অঙ্গরাজ্যে হাইকিং করতে গিয়ে অতিরিক্ত গরমে প্রাণ হারানো জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সার হান্না মুডির মৃত্যুরহস্য উন্মোচিত হয়েছে। গত মে মাসে ট্রেলে তাঁর মরদেহ খুঁজে পাওয়া যায়।
ম্যারিকোপা কাউন্টি মেডিকেল পরীক্ষকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৩১ বছর বয়সী হান্নার মৃত্যুর কারণ ছিল ‘পরিবেশগত তাপের প্রভাব’। তাঁর মৃত্যু ছিলো নিছকই একটি দুর্ঘটনা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাইকিং বিষয়ক বিভিন্ন কনটেন্ট তৈরি করতেন হান্না। প্রায় ৪৪ হাজারের বেশি অনুসারী ছিল তাঁর।
বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা জানান, ২১শে মে তারিখে তিনি নিখোঁজ হয়েছিলেন। এরপর ২২শে মে দুপুরের দিকে ম্যাকডওয়েল সোরান রিজার্ভের গেটওয়ে ট্রেলহেডের কাছে একটি ট্রেইলের ৬০০ গজ দূরে তাঁর মরদেহ খুঁজে পাওয়া যায়।
স্কটসডেল পুলিশ বিভাগ জানায়, হান্নাকে খুঁজতে পায়ে হেঁটে, ড্রোন ব্যবহার করে এবং ফিনিক্স পুলিশ বিভাগের একটি হেলিকপ্টারের সহায়তায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা ধরে খোঁজাখুঁজির পর রাতের বেলা অভিযান বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পরের দিন সকালে, ২০ জনের বেশি পুলিশ সদস্য সাইকেল, পায়ে হেঁটে, ড্রোন ও ম্যারিকোপা কাউন্টি শেরিফের অফিসের উদ্ধারকারী দল ও এয়ার ইউনিটের সহায়তায় পুনরায় তল্লাশি শুরু করেন। এই অভিযানে অন্যান্য ব্যক্তিরাও সহায়তা করেন।
হান্নার ভাই জোয়েল মুডি জানান, হান্না সবার সঙ্গে মিশতে পছন্দ করতেন। কারো সঙ্গে অপরিচিত থাকতে তার ভালো লাগতো না।
তিনি সবসময় চাইতেন, মানুষ যেন ভালোবাসার অনুভূতি নিয়ে জীবন কাটায়। হান্নার বন্ধু মেগান প্যাসকেল বলেন, হান্না এমন একজন মানুষ ছিলেন যিনি অপরিচিতদেরও খুশি করতে পারতেন।
কাউকে ভালোবেসে অথবা কফি কিনে তিনি সবসময় হাসিখুশি থাকতেন।
আরিজোনা অঙ্গরাজ্যে হাইকিং করার সময় তাপমাত্রা ১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত ছিল বলে জানা যায়। হান্নার মা টেরি মুডি মেয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, “আমি যেন বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। এটা আমার কাছে এখনও বাস্তব মনে হয় না।”
আরিজোনা অঞ্চলের আবহাওয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের অনেক জেলার গরমের মিল রয়েছে। গরমকালে অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে।
তাই গরমকালে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা, হালকা রঙের পোশাক পরা এবং সরাসরি সূর্যের আলো এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
তথ্যসূত্র: পিপলস