যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি সিদ্ধান্তে কারাবাস থেকে মুক্তি পেয়েছেন রিয়েলিটি টিভি তারকা টড ও জুলি ক্রিসলি। তাঁদের মেয়ে সাভানা ক্রিসলির মতে, এই মুক্তির পেছনে ট্রাম্পের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
জানা যায়, ব্যাংক ও তারের মাধ্যমে প্রতারণা, কর ফাঁকি এবং ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর টড ও জুলি ক্রিসলিকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তাঁদের সম্মিলিতভাবে ১৯ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল, যা পরে কিছু কমানো হয়।
এই দম্পতির মুক্তির জন্য তাঁদের পরিবার, বিশেষ করে সাভানা ক্রিসলি, আইনি লড়াই চালিয়ে যান।
২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হওয়ার পর ক্রিসলি পরিবারে আনন্দের ঢেউ লাগে। সাভানা জানান, নির্বাচনের ফল দেখে তিনি এবং তাঁর ভাই গ্রেসন দুজনেই কেঁদেছিলেন। তাঁদের ধারণা ছিল, ট্রাম্প জিতলে তাঁদের বাবা-মায়ের মুক্তির পথ সুগম হবে।
টড ক্রিসলিও তাঁর কারাকক্ষে অন্যান্য বন্দীদের সঙ্গে নির্বাচনের ফল দেখার স্মৃতিচারণ করেন। ট্রাম্পের জয় নিশ্চিত হওয়ার পর সেখানকার সকলে উল্লাস প্রকাশ করেন, কারণ তাঁদের বিশ্বাস ছিল ট্রাম্প তাঁদের জন্য আশার আলো নিয়ে এসেছেন।
সাভানা জানান, ট্রাম্প তাঁকে ফোন করে তাঁর বাবা-মায়ের বিষয়ে তাঁর পরিকল্পনা সম্পর্কে জানিয়েছিলেন। ট্রাম্প, প্রাক্তন বন্দী অ্যালিস জনসনকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, এটি কি সাজা মওকুফ নাকি সম্পূর্ণ ক্ষমা? জনসন জানান, আপাতত সাজা মওকুফের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপর ট্রাম্প তাঁদের সম্পূর্ণ ক্ষমা করার কথা জানান। সাভানা তখন খুবই বিস্মিত হয়েছিলেন।
সাভানা জানান, তাঁর বাবা-মায়ের মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয়েছে মূলত তাঁর প্রচেষ্টার কারণে। তিনি এমনকি রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশনে ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বক্তৃতাও করেছিলেন। কারাবাসের সময়কালে ক্রিসলি পরিবার তাঁদের জনপ্রিয় ‘ক্রিসলি কনফেশনস’ নামে একটি পডকাস্ট বন্ধ করে দেয়।
মুক্তির পর তাঁরা সেটি পুনরায় চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সাভানা জানান, তিনি তাঁদের গল্প সবার সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
তথ্য সূত্র: পিপল ম্যাগাজিন।