১৪ বছর পর স্বামীর ঘর ছাড়লেন, পুরোনো প্রেমিকের সাথে নতুন জীবন!

এক নারীর আত্ম-অনুসন্ধান: ১৪ বছরের বিবাহিত জীবন থেকে মুক্তির পর ভালোবাসার নতুন দিগন্ত।

নিজের আসল সত্তা খুঁজে বের করার এক কঠিন পথে হেঁটেছেন আমান্ডা স্মিথ। রক্ষণশীল পরিবেশে বেড়ে ওঠা, সমাজের চাপে নিজের ভেতরের সত্যকে দীর্ঘদিন গোপন করে অবশেষে তিনি খুঁজে পান মুক্তির আলো।

সম্প্রতি, তিনি ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবন থেকে বেরিয়ে এসে পুরনো ভালোবাসার মানুষ, জেসিকা গেলটিং-এর সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন।

আমান্ডার শৈশব কেটেছে রক্ষণশীল একটি ধর্মীয় পরিবেশে। কৈশোরেই তিনি বুঝতে পারেন, তিনি নারী হিসেবে পুরুষের প্রতি আকৃষ্ট নন।

সমাজের ভয়ে, তিনি তার এই অনুভূতিকে চেপে যান। এরপর, এক ভালো মনের মানুষের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এবং সংসার শুরু করেন।

তাদের তিনটি সন্তান হয়।

কিন্তু ভেতরের দ্বন্দ্ব সহজে দূর হওয়ার ছিল না। ১৪ বছর সংসার করার পর, তিনি অবশেষে নিজের ভেতরের সত্যকে আর অস্বীকার করতে পারেননি।

অবশেষে, তিনি সমাজের প্রচলিত ধারণা এবং ধর্মীয় অনুশাসনের বিরুদ্ধে গিয়ে, তার আসল পরিচয় সবার সামনে প্রকাশ করেন।

আমান্ডার এই কঠিন সময়ে সাহস জুগিয়েছিলেন জেসিকা গেলটিং। একসময় তাদের মধ্যে গভীর সম্পর্ক ছিল, কিন্তু সমাজের ভয়ে সে সম্পর্ক বেশিদূর এগোয়নি।

বিবাহবিচ্ছেদের পর, আমান্ডা আবার জেসিকার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

আমান্ডা জানান, “আমি সবসময়ই জানতাম, আমার জীবনে কিছু একটা অপূর্ণতা রয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “আমি কখনোই আমার ভালোবাসাকে সেই সম্মান দিতে পারিনি, যা আমার প্রাক্তন স্বামী পাওয়ার যোগ্য ছিলেন।

একইসঙ্গে, আমি নিজেও সেই ভালোবাসা পাইনি, যা আমার প্রাপ্য ছিল।”

আমান্ডা এবং তার প্রাক্তন স্বামী, তাদের সন্তানদের ভালোর জন্য এখনো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। তারা একসাথে সন্তানদের জন্মদিন পালন করেন এবং পারিবারিক ভ্রমণে যান।

বিচ্ছেদ তাদের সম্পর্কের ধরন বদলে দিয়েছে, কিন্তু ভালোবাসার গভীরতা এতটুকুও কমেনি।

আমান্ডা বলেন, “আমার সন্তানরা জানে, তারা ভালোবাসার মধ্যে বেড়ে উঠছে। তাদের বাবা-মা একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং তারা সবসময় তাদের সন্তানদের ভালো চায়।”

আমান্ডা স্মিথের এই যাত্রা আমাদের শিখিয়েছে, আত্ম-অনুসন্ধান এবং নিজের প্রতি সৎ থাকাটা কতটা জরুরি।

সমাজের চাপ উপেক্ষা করে নিজের সত্যকে খুঁজে বের করা এবং সেই পথে অবিচল থাকার মধ্যেই জীবনের আসল আনন্দ নিহিত।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *