আতঙ্ক! ছাত্র হত্যার আসামীর নতুন চাঞ্চল্যকর পদক্ষেপ, সবাই হতবাক!

**আইডাহো’র ছাত্র হত্যা মামলা: অভিযুক্ত ব্রায়ান কোহবার্গারের সাজা ঘোষণার প্রস্তুতি, এখনো রহস্যে মোড়া ঘটনার অনেক দিক**

যুক্তরাষ্ট্রের আইডাহো অঙ্গরাজ্যের একটি চাঞ্চল্যকর ছাত্র হত্যা মামলার আসামি ব্রায়ান কোহবার্গার দোষ স্বীকার করতে রাজি হয়েছেন। এর ফলে তার মৃত্যুদণ্ডের সম্ভাবনা আপাতত কমে এসেছে। খবর অনুযায়ী, আগামীকালের শুনানিতে আদালতের বিচারক স্টিভেন হিপলারের সামনে তিনি এই সংক্রান্ত একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন।

২০২২ সালের নভেম্বরে, আইডাহো বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন ইথান চ্যাপিন, জিয়ানা কার্নোডল, কায়েলা গনকালভেস এবং ম্যাডিসন মোগেন। তাদের বয়স ছিল আনুমানিক ২০ থেকে ২১ বছর। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন এবং একটি বাড়িতে থাকতেন। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সারা বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে।

এই মামলার প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত হন ব্রায়ান কোহবার্গার। তিনি পেশায় ক্রিমিনোলজি বিভাগের সাবেক পিএইচডি ছাত্র ছিলেন। ঘটনার পর থেকে দীর্ঘ সময় ধরে চলা আইনি লড়াই শেষে, এখন তিনি সম্ভবত একটি “প্লি ডিল” (Plea Deal) বা দোষ স্বীকারের চুক্তির দিকে যাচ্ছেন, যেখানে তিনি দোষ স্বীকার করে মৃত্যুদণ্ড এড়াতে পারবেন।

তবে এই ঘটনার অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিক এখনো অজানা। ঠিক কী কারণে এই শিক্ষার্থীদের হত্যা করা হয়েছিল? কেন অন্যান্য রুমমেটদের (Roommates) ওপর হামলা হয়নি? কীভাবে হত্যাকারী ওই বাড়িতে প্রবেশ করলো এবং ঘটনার পর কিভাবে তিনি এত দিন ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন, এমন অনেক প্রশ্নের উত্তর এখনো পাওয়া যায়নি।

আদালতের নথি এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, ঘটনার দিন নিহতদের সঙ্গে ব্রায়ান কোহবার্গারের কোনো সরাসরি সম্পর্ক ছিল না। তবে তদন্তে জানা গেছে, ঘটনার আগে কোহবার্গার ভিকটিমদের একজনের ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইল অনুসরণ করতেন এবং হত্যাকাণ্ডের কয়েক সপ্তাহ আগে ভিকটিমদের কর্মস্থলে গিয়েছিলেন।

হত্যাকাণ্ডের রাতে, নিহত শিক্ষার্থীরা বন্ধুদের সঙ্গে বাইরে গিয়েছিলেন এবং গভীর রাতে বাসায় ফেরেন। পরের দিন সকালে, পুলিশ তাদের রক্তাক্ত অবস্থায় খুঁজে পায়। ঘটনার সময়, ডিলান মর্টেনসেন ও বেথানি ফানক নামে নিহতদের আরো দুইজন রুমমেট বাসায় ছিলেন। মর্টেনসেন জানিয়েছেন, তিনি একজন মুখোশ পরা লোককে তাদের বাড়ির দিকে যেতে দেখেছিলেন।

এই মামলার তদন্তে, কোহবার্গারের ডিএনএ-র (DNA) সঙ্গে একটি ছুরি-আবরণের ডিএনএ’র মিল পাওয়া গেছে, যা ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। এছাড়াও, ঘটনার কয়েক দিন পর কোহবার্গারের গাড়ির নম্বর প্লেট পরিবর্তন করা এবং তার আচরণ সন্দেহজনক ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।

যদি কোহবার্গার দোষ স্বীকার করেন, তাহলে সম্ভবত মামলার বিচার প্রক্রিয়া সংক্ষিপ্ত হবে। তবে ভুক্তভোগীদের পরিবার চায়, কোহবার্গার যেন এই হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত বর্ণনা দেন, যা ঘটনারহস্য উন্মোচনে সহায়ক হবে। এখন দেখার বিষয়, এই মামলার চূড়ান্ত পরিণতি কি হয় এবং হত্যাকাণ্ডের পেছনের আসল কারণগুলো কবে জানা যায়।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *