সামরিক বাহিনীতে নারী: ডেনমার্কের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত!

ডেনমার্কের সামরিক বাহিনীতে নারী: নিরাপত্তা উদ্বেগের মধ্যে নতুন পদক্ষেপ।

ইউরোপে নিরাপত্তা পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে, আর এই পরিস্থিতিতে ডেনমার্ক তাদের সামরিক শক্তি আরও সুসংহত করতে চাইছে। তারই অংশ হিসেবে, দেশটির সরকার নারীদের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আগামী ১লা জুলাই, ২০২৫ সাল থেকে, যাদের বয়স ১৮ বছর হবে, তাদের সামরিক বাহিনীতে যোগদানের জন্য নাম নিবন্ধন করতে হবে। এতদিন পর্যন্ত, ডেনমার্কের সামরিক বাহিনীতে নারীরা স্বেচ্ছায় যোগ দিতে পারতেন।

বর্তমানে মোট সৈন্যের প্রায় ২৪ শতাংশ নারী।

ডেনমার্কের এই নতুন পদক্ষেপের মূল কারণ হলো, ইউরোপজুড়ে নিরাপত্তা উদ্বেগ বৃদ্ধি পাওয়া। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে, সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা আরও তীব্র হয়েছে।

সরকার মনে করে, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেরই দেশের সুরক্ষায় সমানভাবে অবদান রাখা উচিত।

সামরিক বাহিনীতে নারীদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য, ডেনমার্ক সরকার বিভিন্ন প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, মহিলা সৈন্যদের উপযোগী সরঞ্জাম এবং ব্যারাক তৈরি করা।

যেমন, সেনাদের ব্যবহারের জন্য তৈরি পোশাক এবং অন্যান্য সরঞ্জামগুলো নারীদের শরীরের গড়নের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

শুধু তাই নয়, ডেনমার্ক তার সামরিক সক্ষমতা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।

এর অংশ হিসেবে, ২০২৬ সাল থেকে সামরিক প্রশিক্ষণের মেয়াদ ৪ মাস থেকে বাড়িয়ে ১১ মাস করা হবে।

বর্তমানে, ডেনমার্কে প্রায় ৫,০০০ জন সামরিক কর্মী কাজ করেন।

২০৩৩ সাল নাগাদ এই সংখ্যা বৃদ্ধি করে ৭,৫০০ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

সম্প্রতি, ডেনমার্ক এবং ন্যাটোভুক্ত অন্যান্য দেশগুলো তাদের প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়ানোর বিষয়ে একমত হয়েছে।

আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ডেনমার্কের এই পদক্ষেপ ইউরোপের নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপর গভীর প্রভাব ফেলবে।

একইসঙ্গে, এটি অন্যান্য দেশকেও সামরিক শক্তি বাড়াতে উৎসাহিত করতে পারে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *