অস্ট্রেলিয়ার একটি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে সাপের উপস্থিতির কারণে দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বিলম্ব হলো। ঘটনাটি ঘটেছে মেলবোর্ন বিমানবন্দরে, যেখানে একটি বিমানের মালবাহী কামরায় একটি সাপ খুঁজে পাওয়া যায়।
জানা গেছে, সাপটি ছিল নিরীহ প্রজাতির, কিন্তু এর কারণে যাত্রীদের বিমানে উঠতে দেরি হয়।
সংবাদ সংস্থা এপি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছে ভার্জিন অস্ট্রেলিয়ার ফ্লাইট VA337-এ, যা মেলবোর্ন থেকে ব্রিসবেনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার কথা ছিল। মঙ্গলবার, বিমানের যাত্রীরা যখন ফ্লাইটে উঠছিলেন, তখনই বিমানবন্দরের কর্মীরা মালবাহী কামরায় সাপটি দেখতে পান।
সঙ্গে সঙ্গেই সাপটিকে ধরার জন্য মার্ক পেলি নামের একজন সাপুড়েকে খবর দেওয়া হয়।
পেলি জানান, প্রথমে তিনি যখন সাপটিকে দেখেন, তখন এটি বিষাক্ত হবে বলেই ধারণা করেছিলেন। অন্ধকারাচ্ছন্ন কামরায় সাপটিকে দেখতে বেশ বিপজ্জনক লাগছিল।
তবে, পরে তিনি বুঝতে পারেন যে এটি আসলে একটি সবুজ জাতের নিরীহ সাপ, যার দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় দুই ফুট।
তিনি আরও জানান, সাপটি যদি বিমানের ভেতরে পালিয়ে যেত, তাহলে যাত্রীদের সরিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন হতো।
সৌভাগ্যবশত, প্রথম চেষ্টাতেই তিনি সাপটিকে ধরতে সক্ষম হন।
সাপটিকে ধরার পর কোয়ারেন্টাইন সংক্রান্ত কারণে এটিকে বন্য পরিবেশে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি।
বর্তমানে সাপটি মেলবোর্নের একজন পশুচিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রয়েছে এবং উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে শীঘ্রই কোনো লাইসেন্সপ্রাপ্ত সাপুড়ের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সাপ উদ্ধারের কারণে ফ্লাইটটি প্রায় দুই ঘণ্টা বিলম্বে ছেড়ে যায়।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস