শিরোনাম: ভিয়েতনাম থেকে আমদানি: ট্রাম্পের বাণিজ্য চুক্তি, যা বাড়াতে পারে মার্কিন পণ্যের দাম।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভিয়েতনামের সম্ভাব্য একটি নতুন বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে, যা চূড়ান্ত হলে এর প্রভাব পড়তে পারে বিশ্ব অর্থনীতিতে। এই চুক্তির ফলে ভিয়েতনাম থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসা পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়তে পারে, যার সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে সাধারণ মার্কিন নাগরিকদের ওপর।
খবর অনুযায়ী, এই শুল্ক বৃদ্ধির কারণে জুতা, ইলেক্ট্রনিক পণ্য এবং পোশাকের মতো জিনিসের দাম বেড়ে যেতে পারে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বাণিজ্য চুক্তির মূল উদ্দেশ্য হলো, ভিয়েতনাম থেকে আসা পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধি করে দেশের ভেতরের উৎপাদনকে উৎসাহিত করা। এর ফলে, মার্কিন ব্যবসায়ীরা হয়তো ভিয়েতনাম থেকে পণ্য আমদানি করতে নিরুৎসাহিত হবেন এবং স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্যের দিকে ঝুঁকবেন।
তবে, এই পদক্ষেপের কারণে শেষ পর্যন্ত ভোক্তাদের ওপর কেমন প্রভাব পড়বে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুল্ক বৃদ্ধি পেলে পণ্যের দাম বাড়বে, যা ব্যবসায়ীদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে। অনেক ব্যবসায়ী হয়তো এই বাড়তি খরচ কমাতে পারবেন না এবং তাঁদের লোকসান হতে পারে।
আবার, অনেক ব্যবসায়ী এই শুল্কের বোঝা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেওয়ার চেষ্টা করবেন, যাতে করে গ্রাহকদের ওপর সরাসরি দামের প্রভাব কম পড়ে।
তবে, এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীরা কতদিন পর্যন্ত এই চাপ ধরে রাখতে পারবেন, তা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। কারণ, শেষ পর্যন্ত হয়তো তাঁদের পণ্যের দাম বাড়াতে হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মতে, ভিয়েতনাম থেকে পণ্য আমদানির ওপর শুল্ক বৃদ্ধি হলে তা আমেরিকান ভোক্তাদের জন্য ক্ষতির কারণ হবে।
ভিয়েতনাম বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রকে পণ্য সরবরাহকারী শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। দেশটির অর্থনীতি ধীরে ধীরে বিশ্ববাজারে নিজেদের অবস্থান শক্ত করছে। যুক্তরাষ্ট্র যদি ভিয়েতনামের পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়ায়, তবে এর প্রভাব বৈশ্বিক বাণিজ্য সম্পর্কের ওপরও পড়তে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নীতিতে নতুন মেরুকরণ দেখা যেতে পারে। অনেক দেশ হয়তো নিজেদের মধ্যে নতুন বাণিজ্য চুক্তি করতে উৎসাহিত হবে, আবার কেউ কেউ যুক্তরাষ্ট্রের এই নীতির বিরোধিতা করতে পারে।
বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ব অর্থনীতিতে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে।
এই চুক্তির বিস্তারিত এখনো অজানা। তবে, যদি এটি কার্যকর হয়, তাহলে এর ফলস্বরূপ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের গতিপথ নতুন দিকে মোড় নিতে পারে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন