বন্যার ঝুঁকিতে শিশুদের ক্যাম্প, ভয়াবহ! কী ঘটলো?

টেক্সাসের পার্বত্য অঞ্চলে ভারী বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় শিশুদের ক্যাম্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বহু মানুষ নিখোঁজ। গত ৪ঠা জুলাই আমেরিকার টেক্সাস রাজ্যের পার্বত্য অঞ্চলে (Texas Hill Country) ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। এই বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিশুদের কয়েকটি ক্যাম্প।

জানা গেছে, ক্যাম্পগুলো এমন স্থানে অবস্থিত ছিল যেখানে বন্যার ঝুঁকি অনেক বেশি। ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি (FEMA) বা ফেডারেল জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা-এর তথ্য অনুযায়ী, এই এলাকাগুলো আগে থেকেই বন্যাপ্রবণ হিসেবে চিহ্নিত ছিল।

গুয়াডালুপ নদীর আশেপাশে (Guadalupe River) অবস্থিত কয়েকটি ক্যাম্পে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মেয়েদের একটি খ্রিস্টান ক্যাম্প ক্যাম্প মিস্টিক (Camp Mystic)। ক্যাম্পটি সাউথ ফর্ক গুয়াডালুপ নদী এবং সাইপ্রেস ক্রিকের সংযোগস্থলে অবস্থিত, যা খুবই বিপজ্জনক।

বন্যায় ক্যাম্প মিস্টিকের কতজন মেয়ে নিখোঁজ রয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত করে জানা যায়নি। তবে, খবর অনুযায়ী এখনো পর্যন্ত ১০ জন মেয়ে ও একজন কর্মী নিখোঁজ রয়েছেন।

ক্যাম্প লা জুন্টা (Camp La Junta) নামের একটি বালক ক্যাম্পেও বন্যার প্রভাব পড়েছে। ক্যাম্পটি ক্যাম্প মিস্টিকের কাছেই অবস্থিত। সৌভাগ্যবশত, ক্যাম্প লা জুন্টা-র সব ছাত্র ও কর্মীকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

সেখানকার ১৪ বছর বয়সী উইন্ডহ্যাম ইথারিজ সিএনএনকে (CNN) জানায়, বন্যার পানি বেড়ে যাওয়ায় তারা তাদের কটেজের উপরের তলায় আশ্রয় নিয়েছিল। উইন্ডহ্যামের মা অ্যামি ইথারিজ জানান, তার ছেলেসহ ক্যাম্পের সবাই ভালো আছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গুয়াডালুপ নদীর এই বন্যা ‘১০০ বছরে একবার’ হওয়া মতো ঘটনা। অর্থাৎ, এর পুনরাবৃত্তির সম্ভাবনা খুবই কম। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের তাপমাত্রা বাড়ছে, ফলে বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্পের পরিমাণও বাড়ছে।

এর ফলস্বরূপ, অতিবৃষ্টি এবং আকস্মিক বন্যার মতো ঘটনাগুলো এখন ঘন ঘন ঘটছে। টেক্সাসে চলতি বছর একাধিকবার ভয়াবহ বন্যা দেখা গেছে। গত বছর আমেরিকাজুড়ে রেকর্ড সংখ্যক আকস্মিক বন্যার ঘটনা ঘটেছে।

বাংলাদেশেও বন্যা একটি নিয়মিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ। বর্ষাকালে দেশের অনেক অঞ্চল প্লাবিত হয়, এতে মানুষের জীবন ও জীবিকার ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ে।

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ভবিষ্যতে বন্যার প্রকোপ আরও বাড়তে পারে, এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই, বন্যা মোকাবিলায় আমাদের সচেতনতা বাড়ানো এবং প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি।

তথ্য সূত্র: সিএনএন (CNN)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *