ইন্দোনেশিয়ার লেভোটোবি লাকি লাকি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, আকাশে ১৮ কিলোমিটার পর্যন্ত ছাই।
ইন্দোনেশিয়ার ফ্লোরেস দ্বীপের লেভোটোবি লাকি লাকি আগ্নেয়গিরি থেকে সোমবার (১/৭/২০২৪) ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে। এর ফলে আকাশে ১৮ কিলোমিটার (১১ মাইল) পর্যন্ত ছাই ও ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছে।
এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
গত এক মাস ধরেই এই আগ্নেয়গিরিটিকে সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছিল। অগ্ন্যুৎপাতের সময় আগ্নেয়গিরির মুখ থেকে ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত লাভা ও উত্তপ্ত গ্যাসের মেঘ ছড়িয়ে পড়ে।
ড্রোন থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে, লাভা ধীরে ধীরে আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ ভরিয়ে দিচ্ছে, যার কারণে ভূমিকম্পের মতো কম্পন অনুভূত হচ্ছে।
ইন্দোনেশিয়ার ভূতত্ত্ব সংস্থা জানিয়েছে, নভেম্বরের ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাতের পর এটি সবচেয়ে বড় অগ্ন্যুৎপাত। সেই সময় ৯ জন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হয়েছিল।
এছাড়াও, গত মার্চ মাসেও এখানে অগ্ন্যুৎপাত হয়েছিল।
ভূ-তত্ত্ব সংস্থার প্রধান মোহাম্মদ ওয়াফিদ জানান, “এ ধরনের বড় অগ্ন্যুৎপাত অবশ্যই বিপদ ডেকে আনে, বিশেষ করে বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে। আমরা দ্রুতই বিপদ সীমানা পুনর্নির্ধারণ করব এবং গ্রামবাসী ও পর্যটকদের সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা নেব।”
উল্লেখ্য, গত ১৮ই জুনও এখানে অগ্ন্যুৎপাত হয়েছিল, এরপরই সতর্কতা বেড়ে সর্বোচ্চ স্তরে নিয়ে আসা হয়।
৭ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে সব ধরনের জনবসতি সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, গত বছর এখানে অগ্ন্যুৎপাতের কারণে প্রায় ৬,৫০০ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল এবং ফ্রানস সেডা বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এখনো পর্যন্ত বিমানবন্দরটি বন্ধ রয়েছে।
লেভোটোবি লাকি লাকি আগ্নেয়গিরিটি ১,৫৮৪ মিটার উঁচু এবং এটি ফ্লোরেস তিমুর জেলার লেভোটোবি পেরেম্পুয়ান নামক আরেকটি আগ্নেয়গিরির সঙ্গে একত্রে অবস্থিত।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০১০ সালে মাউন্ট মেরাপি’র অগ্ন্যুৎপাতের পর এটি ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে বড় অগ্ন্যুৎপাত। সেই ঘটনায় প্রায় ৩৫৩ জন নিহত হয়েছিল এবং সাড়ে তিন লক্ষাধিক মানুষকে সরিয়ে নিতে হয়েছিল।
ইন্দোনেশিয়া একটি দ্বীপ রাষ্ট্র, যেখানে প্রায়ই ভূমিকম্প ও অগ্ন্যুৎপাতের মতো ঘটনা ঘটে।
দেশটির ‘রিং অফ ফায়ার’-এ অবস্থিত হওয়ায় এখানে ১২০টির বেশি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস