ওয়াশিংটন রাজ্যে, পিতার বিরুদ্ধে কন্যাদের হত্যার অভিযোগে বিশাল তল্লাশি অভিযান চলছে। আমেরিকার পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত ক্যাসকেড পর্বতমালায়, যেখানে গ্রীষ্মের মনোরম পরিবেশে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ে, সেখানেই এই ঘটনার সূত্রপাত।
গত ২রা জুন, পুলিশ ক্যাসকেডসের একটি পরিত্যক্ত ক্যাম্পসাইটে ৫ বছর বয়সী অলিভিয়া, ৮ বছর বয়সী ইভলিন এবং ৯ বছর বয়সী পেইটনের মৃতদেহ খুঁজে পায়। এই ঘটনার পর থেকেই তাদের বাবা, ট্র্যাভিস ডেককারকে আটকের জন্য ব্যাপক তল্লাশি শুরু হয়।
ডেককারের বিরুদ্ধে তার তিন মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
তল্লাশি অভিযানটি কঠিন ভূখণ্ড এবং বন্য পরিবেশে টিকে থাকার দক্ষতাসম্পন্ন একজন সেনা সদস্যের (ডেককার) কারণে আরও জটিল হয়ে উঠেছে। ঘটনার পর ডেককার বেশ কয়েকদিনের জন্য আত্মগোপন করেছিলেন।
তবে গ্রীষ্মের এই মৌসুমে পর্যটকদের আগমন সম্ভবত তদন্তকারীদের জন্য সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ক্যাসকেডসের আশেপাশে, বিশেষ করে আইসिकल ক্রিকের আশেপাশে যখন মানুষজন ঘোরাঘুরি করবে, তখন ডেককারকে খুঁজে বের করা সহজ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আমরা আশা করছি, পর্যটকদের আনাগোনা এই অঞ্চলের প্রতিটি কোণকে অনুসন্ধানের আওতায় আনতে সাহায্য করবে।
অনুসন্ধানকারীরা ডেককারকে জীবিত অবস্থায় খুঁজে বের করতে চাইছে, তবে তিনি হয়তো ততক্ষণে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন অথবা তার কোনো ক্ষতি হয়েছে।
তদন্তকারীরা ডেককারের ব্যবহৃত একটি ট্রাকে রক্তের ছাপ খুঁজে পেয়েছেন। পুলিশের ধারণা, সেই রক্ত ডেককারেরই। ঘটনার কয়েকদিন আগে ডেককার কানাডায় যাওয়ার বিষয়ে অনলাইনে কিছু তথ্য খুঁজেছিলেন। তদন্তকারীরা এখন কানাডার কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন।
তল্লাশি দল ড্রোন, ডুবুরি এবং বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর ব্যবহার করছে। ক্যাসকেডসের দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল, যেখানে গুহা ও খনি রয়েছে, সেখানে ডেককারের খোঁজে ব্যাপক তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
আমরা নিশ্চিত, ডেককারকে খুঁজে বের করার জন্য আমাদের যথেষ্ট জনবল ও সম্পদ রয়েছে। তবে আমরা কোনোভাবেই প্রতিপক্ষকে খাটো করে দেখছি না।”
এই বিশাল তল্লাশি অভিযানের খরচ এরই মধ্যে ৬ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন