ডোনাল্ড ট্রাম্প, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ক্ষেত্রে আবারও অস্থিরতা সৃষ্টি করেছেন। তিনি বিভিন্ন দেশের উপর শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন, যার মধ্যে ব্রিকস (BRICS) দেশগুলোর উপর ১০ শতাংশ শুল্ক এবং ঔষধশিল্পের উপর ২০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বসানোর হুঁশিয়ারি রয়েছে।
এই পদক্ষেপ বিশ্ব অর্থনীতির জন্য নতুন অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে এবং এর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
ট্রাম্পের ঘোষণা অনুযায়ী, বুধবার সকালে অন্তত সাতটি দেশের উদ্দেশ্যে শুল্ক বিষয়ক চিঠি পাঠানো হবে। এরপর বিকালে আরও কিছু দেশকে এই তালিকায় যুক্ত করা হবে।
বাণিজ্য বিষয়ক আলোচনা দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য দেশগুলোর উপর চাপ সৃষ্টি করতেই এমনটা করা হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে, গত সোমবার ১৪টি দেশের কাছে শুল্ক আরোপের প্রথম চিঠি পাঠানো হয়, যেখানে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকার নাম উল্লেখযোগ্য।
আগামী ১লা আগস্ট থেকে এই শুল্ক নীতি কার্যকর করার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। ট্রাম্প স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, এই সময়সীমা আর বাড়ানো হবে না।
এমনকি, ব্রিকস-এর সদস্য দেশগুলোর উপর শুল্ক আরোপের কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন, মার্কিন ডলারের আধিপত্যের প্রতি সম্ভাব্য হুমকি। তিনি মনে করেন, ব্রিকস জোট গঠিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে এবং এর মাধ্যমে ডলারের মান কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা—এই পাঁচটি দেশ নিয়ে গঠিত হয়েছিল ব্রিকস। বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০।
এই জোটের অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য দেশগুলো হলো মিশর, ইথিওপিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইরান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের ফলে বিশ্ব বাণিজ্য এবং বিশেষ করে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কি প্রভাব পড়বে, তা এখন দেখার বিষয়। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পসহ বিভিন্ন রপ্তানি খাতের উপর এর প্রভাব পড়তে পারে।
এছাড়া, মার্কিন ডলারের মূল্যের পরিবর্তন হলে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রেও তারতম্য দেখা যেতে পারে। এই পরিস্থিতিতে, বিশ্ব বাণিজ্য পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
তথ্য সূত্র: আন্তর্জাতিক সংবাদ