প্যারিসের ফ্যাশন দুনিয়ায় সম্প্রতি অভিনেত্রী ও রিয়েলিটি শো তারকা লিসা রিনার ভিন্ন ধরনের হেয়ার স্টাইল নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে। সাধারণত ঝলমলে চুলের জন্য পরিচিত লিসা, এবার প্যারিস ফ্যাশন উইকে হাজির হয়েছিলেন নানা রঙের ও আকারের উইগ পরে।
কেউ বলছেন, ফ্যাশনের দুনিয়ায় এটি নতুন একটি ধারা, আবার কারও মতে, এটি নিছকই দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা।
প্যারিসের এই ফ্যাশন শো’গুলোতে রিনার পরনে দেখা গেছে নামিদামি সব ব্র্যান্ডের পোশাক। তবে সবার নজর ছিল তাঁর চুলের দিকে।
ব্ল্যাক বাটি-কাট থেকে শুরু করে, হালকা বেগুনি রঙের উঁচু ঝুঁটি—বিভিন্ন ধরনের উইগ পরে এসেছিলেন তিনি।
জানা গেছে, এই উইগগুলো তৈরি করেছেন সুপরিচিত হেয়ার স্টাইলিস্ট ইয়োহান হেলস্ট্রম। হেলস্ট্রমের মতে, প্রতিটি উইগ রিনার মাথায় পরানোর জন্য দুজন মানুষের প্রয়োজন হয়েছে, যা অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে করা হয়েছে।
ফ্যাশন সচেতনদের মতে, এই ধরনের সাজসজ্জা আসলে ফ্যাশন জগতের একটি অংশ। এখানে পোশাকের সঙ্গে চুলের স্টাইলও গুরুত্বপূর্ণ।
কেউ কেউ মনে করেন, রিনার এই ভিন্ন ধরনের চেষ্টা ফ্যাশন জগতে নতুনত্ব যোগ করেছে। আবার অনেকে বলছেন, এটি নিছকই তারকা খ্যাতি ধরে রাখার একটি কৌশল।
ফ্যাশন বিশ্বে এই ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা নতুন নয়। এর আগে, ডোজা ক্যাট-কে দেখা গেছে, ৩০ হাজার ক্রিস্টাল দিয়ে শরীর সাজাতে, আবার কাইলি জেনার পরেছিলেন সিংহের মাথা।
তবে, উইগ ব্যবহার করে এমন সাজ এখনো খুব একটা দেখা যায় না। রিনার এই ধরনের সাজ তাই অনেকের কাছেই আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এর আগে, তিনি এই ধরনের আরও অনেক পরীক্ষামূলক হেয়ার স্টাইল করেছেন, যা ফ্যাশন দুনিয়ায় বেশ সাড়া ফেলেছিল।
এই প্রসঙ্গে ফ্যাশন বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ফ্যাশন শো’গুলোতে তারকারা তাঁদের পোশাক এবং সাজসজ্জার মাধ্যমে নিজেদের ভিন্নভাবে উপস্থাপন করতে চান। এর মাধ্যমে তাঁরা একদিকে যেমন ফ্যাশন ট্রেন্ড তৈরি করেন, তেমনই নিজেদের পরিচিতিও বাড়ান।
লিসা রিনার এই উইগ-এর ব্যবহারও সম্ভবত সেই চেষ্টারই একটি অংশ।
প্রাচীনকালে, বিশেষ করে মিশরে, উইগ ব্যবহারের প্রচলন ছিল। সামাজিক মর্যাদা বোঝাতে এবং সূর্যের তাপ থেকে বাঁচতে সেসময় উইগ পরা হতো।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, বিশেষ করে আফ্রিকান ও কৃষ্ণাঙ্গ সমাজে, এটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ হয়ে ওঠে।
তবে ফ্যাশন উইকে উইগ-এর ব্যবহার অনেকটা ফ্যাশন অনুষঙ্গের মতোই। এটি পোশাকের সঙ্গে চরিত্র ফুটিয়ে তোলার একটি মাধ্যম।
লিসা রিনার এই ভিন্ন ধরনের সাজসজ্জা, ফ্যাশন জগতে নতুন একটি дискуশন তৈরি করেছে, তা বলাই যায়।
তথ্য সূত্র: সিএনএন