ইরানের আক্রমণে কাতার ঘাঁটির যোগাযোগ ব্যবস্থা ধ্বংস?

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কাতারের মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে যোগাযোগ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে এমনটাই জানা গেছে। সম্প্রতি, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যে এই ঘটনাটি ঘটে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত আল-উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে ইরানের এই হামলার মূল লক্ষ্য ছিল যুক্তরাষ্ট্রের যোগাযোগ সরঞ্জাম স্থাপন করা একটি বিশেষ ধরনের গম্বুজ (geodesic dome)।

সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)-এর বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ২৩শে জুন হওয়া এই হামলায় সম্ভবত ওই গম্বুজটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা যায়, হামলার আগে সেখানে গম্বুজটি বিদ্যমান ছিল, কিন্তু হামলার পরে সেটি আর দেখা যাচ্ছে না।

এর বদলে, আশেপাশের কিছু ভবনেও ক্ষতির চিহ্ন দেখা গেছে।

এই হামলার কারণ হিসেবে জানা যায়, ইরানের অভ্যন্তরে তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের বোমা হামলার প্রতিশোধ ছিল এটি। যদিও হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র এটিকে খুব হালকাভাবে দেখিয়েছে।

তারা দাবি করেছে, হামলার পূর্বেই তারা সতর্ক হয়েছিল এবং ক্ষয়ক্ষতিও সামান্য হয়েছে। অন্যদিকে, ইরান দাবি করেছে, তাদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ঘাঁটিটির যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী জানায়, ঘাঁটিটিতে “ধ্বংসাত্মক ও শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র হামলা” করা হয়েছে। এমনকি ইরানের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়, ঘাঁটিটি “চূর্ণবিচূর্ণ” হয়ে গেছে।

মার্কিন সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ডের সদর দপ্তর হিসেবে পরিচিত এই ঘাঁটিতে আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সরঞ্জাম সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। ফলে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

হামলার কয়েকদিন পর, ইরানের সর্বোচ্চ নেতার উপদেষ্টা দাবি করেন, এই হামলার ফলে ঘাঁটিটির সকল যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে বিদ্যমান এই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। এই ঘটনার ফলে, ওই অঞ্চলের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভবিষ্যতে এর ফলস্বরূপ আন্তর্জাতিক সম্পর্কেও পরিবর্তন আসতে পারে।

তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *