যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে আবারও ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। শনিবার রাতের এই হামলায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে আরও অনেকে।
ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে এই হামলা চালানো হয়, যার মধ্যে চেরনিভসি, লিভিভ ও খারকিভ উল্লেখযোগ্য।
চেরনিভসি অঞ্চলের গভর্নর রুসলান জাপারানিউক জানিয়েছেন, রুশ হামলায় বুখোভিনা এলাকায় ড্রোন থেকে পড়া ধ্বংসাবশেষের কারণে দুজন নিহত হয়েছে এবং ১৪ জন আহত হয়েছে।
একইসাথে, লিভিভ অঞ্চলে ড্রোন হামলায় ৬ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার গভর্নর ম্যাক্সিম কোজিস্কি।
উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনের খারকিভেও চালানো হয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, যেখানে তিনজন আহত হয়েছে। খারকিভের মেয়র ইগোর তেরেখভ জানিয়েছেন, শহরটিতে আটটি ড্রোন এবং দুটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে।
ইউক্রেনীয় বিমান বাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়া শনিবার রাতে ৫৯৭টি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।
এর মধ্যে, তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ৩১৯টি ড্রোন এবং ২৫টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে।
এছাড়াও, সম্ভবত ইলেকট্রনিক জ্যামিংয়ের কারণে তারা ২৫৮টি ডেকোয়ি (decy) ড্রোন ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউক্রেনীয় শহরগুলোতে রাশিয়ার এই ব্যাপক হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এর আগে, গত কয়েকদিনে রেকর্ড সংখ্যক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়, যার মধ্যে পোল্যান্ড সীমান্তের কাছে অবস্থিত লুৎস্ক শহরও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই শহরটি বিদেশি সামরিক সহায়তা পাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।
পোল্যান্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা ইউক্রেন সংলগ্ন অঞ্চলে তাদের যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে।
এদিকে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, তারা শনিবার রাতে ৩৩টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে।
এই হামলার ফলে ইউক্রেনীয় সেনাদের উপর চাপ আরও বাড়ছে, কারণ তারা প্রায় ১,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্রন্ট লাইনে প্রতিরোধের চেষ্টা করছে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস