ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধ আপাতত স্থগিত হতে চলেছে। আগামী ১লা আগস্টের মধ্যে উভয়পক্ষের মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায়, ইইউ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত পণ্যের উপর শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে।
ব্রাসেলসে এক বিবৃতিতে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেয়েন জানান, এখন আলোচনার সময়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১লা আগস্ট থেকে ইইউ এবং মেক্সিকো থেকে আসা পণ্যের উপর ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ার পরেই ইইউ এই সিদ্ধান্ত নিল। যদিও ইইউ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধানে পৌঁছাতে আগ্রহী।
এই প্রসঙ্গে ভন ডের লেয়েন বলেন, “আমরা সবসময় একটি সমঝোতামূলক সমাধানের পক্ষে থেকেছি।”
উল্লেখ্য, ইইউ এবং যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বৃহত্তম দুটি বাণিজ্যিক শক্তি। গত বছর এই দুই পক্ষের মধ্যে প্রায় ২ ট্রিলিয়ন ইউরোর (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৩০ ট্রিলিয়ন টাকা) বাণিজ্য হয়েছে।
ইউরোপ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রধান রপ্তানি পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে ঔষধ, গাড়ি, বিমান, রাসায়নিক দ্রব্য, চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং ওয়াইন ও স্পিরিট জাতীয় পানীয়।
যুক্তরাষ্ট্রের এই শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। কারণ, বাণিজ্য শুল্কের কারণে পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেতে পারে, যা বিশ্বজুড়ে ভোক্তাদের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্যমন্ত্রীরা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করতে সোমবার বৈঠকে বসছেন।
এই পরিস্থিতিতে, বিশ্ব অর্থনীতির উপর এর সম্ভাব্য প্রভাব বিবেচনা করে, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণে রাখা জরুরি। কারণ, বিশ্ব বাণিজ্যে যেকোনো পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে সুযোগ এবং চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস