ট্রাম্পের দূত কিয়েভে: ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ইউক্রেন যুদ্ধের গতিপথ পরিবর্তনের সম্ভাবনা? কিয়েভে ট্রাম্পের বিশেষ দূতের আগমন, বাড়ছে আলোচনা

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল কেইথ কেলগ সোমবার কিয়েভে পৌঁছেছেন।

এই সফর এমন এক সময়ে হচ্ছে যখন এই যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে।

ট্রাম্প সম্প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি রাশিয়া সম্পর্ক বিষয়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘোষণা দিতে পারেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই এই যুদ্ধ দ্রুত বন্ধ করার কথা বলছেন এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অনমনীয় অবস্থান নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন।

রবিবার ট্রাম্প নিশ্চিত করেছেন যে ইউক্রেনকে অত্যাধুনিক প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিমান হামলার মোকাবিলায় সহায়তা করবে।

ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র, রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম মনে করেন, এই সংঘাত একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় নিতে যাচ্ছে, কারণ ট্রাম্প ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধে আরও বেশি সমর্থন দিতে আগ্রহী হচ্ছেন।

যদিও এর আগে ট্রাম্প ইউক্রেনকে সহায়তা করার বিষয়ে দ্বিধা প্রকাশ করেছিলেন এবং এটিকে মার্কিন করদাতাদের অর্থ অপচয় হিসেবেও উল্লেখ করেছিলেন।

এদিকে, ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুটে সোমবার ও মঙ্গলবার ওয়াশিংটন ডিসি-তে অবস্থান করার কথা রয়েছে। সেখানে তিনি ট্রাম্প, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী পেete হেগসেথের সাথে বৈঠক করবেন।

এছাড়াও, তিনি কংগ্রেস সদস্যদের সঙ্গেও আলোচনা করবেন।

কিয়েভে কেলগের সফরের সময়, ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, নিরাপত্তা জোরদার, অস্ত্র সরবরাহ, রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা এবং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের অফিসের প্রধান আন্দ্রি ইয়ারমাক বলেছেন, রাশিয়া যুদ্ধবিরতি চায় না। তিনি আরও বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের “শক্তির মাধ্যমে শান্তি” নীতিকে তারা সমর্থন করেন।

এই পরিস্থিতিতে, ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ এবং এর আন্তর্জাতিক প্রভাব নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা পরিবর্তনের সম্ভাবনা নিয়ে বিভিন্ন মহলে আগ্রহ তৈরি হয়েছে।

তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *