গাজায় ইসরায়েল যুদ্ধ: শিল্পী মহলে ভাঙন, মুখ খুললেন শীর্ষ তারকারা!

পশ্চিম এশিয়ার গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ নিয়ে মুখ খোলায় যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডের বেশ কয়েকজন সঙ্গীতশিল্পী একজোট হয়েছেন। তারা একটি সংগঠন গড়ে তুলেছেন, যারা গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীদের কথা বলার স্বাধীনতা রক্ষার জন্য কাজ করবেন।

এই শিল্পীদের মধ্যে জনপ্রিয় ব্যান্ড ম্যাসিভ অ্যাটাক এবং খ্যাতিমান সঙ্গীত প্রযোজক ব্রায়ান ইনো’র নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

সংগঠনটি গঠনের মূল কারণ হলো, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে যারা কথা বলছেন, তাদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা চলছে। জানা গেছে, অনেক শিল্পী তাদের পেশাগত জীবনে বিভিন্ন ধরনের বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন।

এমনকি তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। যুক্তরাজ্যে ‘ইউকে ল’য়ার্স ফর ইসরাইল’ (ইউকেএলএফআই) নামের একটি সংগঠন এইসব শিল্পীর কণ্ঠরোধ করতে চাইছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সংগঠন সূত্রে জানা যায়, গাজায় ইসরায়েলের হামলা এবং এর পেছনে বিভিন্ন দেশের সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করায় অনেক শিল্পী নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তাদের কনসার্ট বাতিল করা হচ্ছে, এমনকি ভিসা বাতিল করার মতো ঘটনাও ঘটছে।

সম্প্রতি নর্দার্ন আইরিশ র‍্যাপার ‘নি-ক্যাপ’ এবং ব্রিটিশ র‍্যাপ-পাঙ্ক ডুয়ো ‘বব ভায়লান’-এর গাজাপন্থী অবস্থানের কারণে তাদের তীব্র সমালোচনার শিকার হতে হয়েছে। গ্ল্যাস্টনবেরি সঙ্গীত উৎসবে তাদের পরিবেশনার জেরে পুলিশি তদন্তের মুখেও পড়তে হয় তাদের।

সংগঠনটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি, ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহ এবং ইসরায়েলের কাছে যুক্তরাজ্যের অস্ত্র বিক্রি বন্ধের দাবি জানাচ্ছে। একইসঙ্গে, কোনো শিল্পী যেন ভয়ের কারণে মুখ খুলতে দ্বিধা বোধ না করেন, সে বিষয়েও তারা সচেতনতা তৈরি করতে চাইছে।

ইতোমধ্যে, এই উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়েছেন ব্রিটিশ শিল্পী পালোমা ফেইথ।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গাজায় যা ঘটছে, তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। তাই তারা চান, কোনো শিল্পী যেন কোনো প্রকার ভয়ের কারণে চুপ করে না থাকেন।

শিল্পীদের এই জোট গাজায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে এবং সেখানকার মানুষের অধিকারের পক্ষে কথা বলতে অঙ্গীকারবদ্ধ।

তথ্যসূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *