টেক্সাসে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বাড়ছে, এখনো নিখোঁজ ৩ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে গত ৪ঠা জুলাই ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে। ঘটনার প্রায় তিন সপ্তাহ পরও এখনো তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিখোঁজদের উদ্ধারে এখনো অভিযান চলছে। শুরুতে প্রায় একশ জনের বেশি মানুষ নিখোঁজ ছিলেন।
টেক্সাসের পার্বত্য অঞ্চলের একটি জনবহুল এলাকা, যেখানে ৪ঠা জুলাই আকস্মিক বন্যা আঘাত হানে। দ্রুতগতিতে আসা এই বন্যায় বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, এবং যানবাহন ভেসে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গুয়াদালাপ নদীর আশেপাশে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকাটি পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়, বিশেষ করে যারা ক্যাম্পিং করতে ভালোবাসেন।
ভারী বৃষ্টির কারণে এখানকার মাটি দ্রুত পানি শোষণ করতে না পারায় প্রায়ই এখানে আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়।
কেনি কাউন্টিতে অবস্থিত একটি ঐতিহ্যবাহী ক্যাম্প, ক্যাম্প মিস্টিক-এ বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জানা গেছে, ক্যাম্পটিতে আসা অনেক কিশোর-কিশোরী এবং কর্মী নিখোঁজ হয়েছে।
এই ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তারা সময় মতো বাসিন্দাদের সতর্ক করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি (FEMA)-র ধারণা অনুযায়ী, এই বন্যা ছিলো একশ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ। বন্যার পানি এতটাই দ্রুত এসেছিল যে, স্থানীয় বাসিন্দারা কিছু বুঝে ওঠার আগেই সব কিছু তলিয়ে যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট স্থানীয় কর্তৃপক্ষের উদ্ধার কার্যক্রমের প্রশংসা করেছেন। তবে, অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, বন্যার পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও স্থানীয় প্রশাসনের প্রস্তুতি ছিল অপ্রতুল।
উদ্ধারকর্মীরা হেলিকপ্টার, নৌকা ও ড্রোন ব্যবহার করে এখনো নিখোঁজদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। বৃষ্টির কারণে অনেক সময় উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে।
কর্তৃপক্ষের আশা, খুব শীঘ্রই নিখোঁজদের উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস।