সুপার বোল: শুরু হলো দলগুলোর প্রস্তুতি, শিরোপার দৌড়ে কারা?

সুপার বোল ৬০-এর লক্ষ্যে এনএফএল দলগুলোর প্রস্তুতি শুরু। আমেরিকান ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর, সুপার বোল-এর ৬০তম সংস্করণের জন্য দলগুলো এখন থেকেই কোমর বাঁধতে শুরু করেছে।

খেলোয়াড় এবং কোচিং স্টাফদের মধ্যে এখন উৎসবের আমেজ, কারণ সবাই সান ফ্রান্সিসকোতে অনুষ্ঠিতব্য ফাইনাল ম্যাচের দিকে তাকিয়ে আছে। লস অ্যাঞ্জেলেস চার্জার্স এবং ডেট্রয়েট লায়ন্স তাদের প্রশিক্ষণ শিবির শুরু করে দিয়েছে, এবং অন্যান্য দলগুলোও ধীরে ধীরে প্রস্তুতি নিচ্ছে।

খেলোয়াড়দের মধ্যে ইতিমধ্যেই যোগ দিয়েছেন নতুন এবং অভিজ্ঞ সকলে। নতুন মৌসুমে অনেক কিছুই দেখার আছে।

কিছু দলে নতুন কোচ এসেছেন, আবার পুরোনো কোচেরাও দল পরিবর্তন করেছেন। খেলোয়াড়দের মধ্যেও জার্সি বদলের হিড়িক লেগেছে।

মাঠের লড়াইয়ে নিজেদের সেরাটা প্রমাণ করতে প্রস্তুত সবাই। ফিলাডেলফিয়া ঈগলস তাদের পুরনো ফর্ম ধরে রাখতে চাইছে।

অন্যদিকে, কানসাস সিটি চিফস তাদের অপূর্ণ স্বপ্ন পূরণ করতে মরিয়া। তারা সুপার বোলের ইতিহাসে টানা তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবে।

জুলাই মাসের শুরুতেই দলগুলো তাদের প্রশিক্ষণ শিবির শুরু করেছে। চার্জার্স এবং লায়ন্স-এর পর, ডলাস কাউবয়স এবং কানসাস সিটি চিফসের খেলোয়াড়রা সোমবার যোগ দেবেন।

এরপর মঙ্গলবার থেকে অন্যান্য দলগুলোও প্রস্তুতি শুরু করবে। ৩১শে জুলাই, ওহাইও-র কেন্টনে অনুষ্ঠিত হবে হল অফ ফেম গেম, যেখানে মুখোমুখি হবে লস অ্যাঞ্জেলেস চার্জার্স এবং ডেট্রয়েট লায়ন্স।

নতুন কোচের তালিকায় রয়েছেন অনেক নাম। পিট ক্যারল, যিনি এক বছর বিরতির পর লাস ভেগাস রাইডার্সে ফিরে এসেছেন।

নিউ ইংল্যান্ডে দায়িত্ব নিচ্ছেন মাইক ভ্রেবল। এছাড়াও, শিকাগো বেয়ার্স-এর কোচ হিসেবে দেখা যাবে বেন জনসনকে, এবং অ্যারন গ্লেন যোগ দিয়েছেন নিউ ইয়র্ক জেটসে।

কোয়ার্টারব্যাক পজিশনেও এবার পরিবর্তন এসেছে। স্টিলার্স-এর হয়ে খেলবেন অ্যারন রজার্স।

সেইন্ট লুইসে ডেরেক কারের জায়গায় খেলবেন টাইলার স্লাউ। এই পরিবর্তনের ফলে দলগুলোর মধ্যে নতুন করে উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে।

কয়েকজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে এখনো চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে। বেঙ্গলস তাদের প্রথম রাউন্ডের খেলোয়াড় শেমার স্টুয়ার্টকে এখনো চুক্তিবদ্ধ করতে পারেনি, এবং অভিজ্ঞ খেলোয়াড় ট্রে হেন্ড্রিকসনের সঙ্গেও নতুন চুক্তি হয়নি।

এছাড়া, ডালাস কাউবয়সের মাইকা পার্সনস-এর সঙ্গে নতুন চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে, যা তাকে নন-কোয়ার্টারব্যাক খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া খেলোয়াড় বানাতে পারে।

প্রাক-মৌসুমের প্রস্তুতি ম্যাচগুলোতে অনেক দলই তাদের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দিচ্ছে। তাই, এখন দলগুলো অন্যান্য দলের সঙ্গে যৌথভাবে অনুশীলন করার দিকে ঝুঁকছে।

প্রশিক্ষণ শিবিরের সময় প্রতিটি দল সর্বোচ্চ ৯০ জন খেলোয়াড় রাখতে পারবে। ২৬শে আগস্টের মধ্যে দলগুলোকে ৫৩ জনে নামিয়ে আনতে হবে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম অবলম্বনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *