যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে শান্তি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা এখনো চলছে, তবে রাশিয়া তাদের লক্ষ্য থেকে সরতে নারাজ। সম্প্রতি, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মস্কোকে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার জন্য ৫০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন।
এই সময়ের মধ্যে যুদ্ধবিরতি না হলে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, রাশিয়া ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় আগ্রহী, কিন্তু তাদের প্রধান লক্ষ্য পূরণ করা এখনো জরুরি।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দ্রুততম সময়ে ইউক্রেন সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান চেয়েছেন। তবে, শান্তি আলোচনা দীর্ঘ এবং কঠিন হতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
রাশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শান্তি আলোচনার ফলস্বরূপ ইউক্রেনকে অবশ্যই ২০১৪ সালে অবৈধভাবে দখল করা চারটি অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে।
এছাড়াও, ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্যপদ লাভের চেষ্টা ত্যাগ করতে হবে এবং তাদের সামরিক বাহিনীর উপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করতে হবে।
কিয়েভ এবং তার পশ্চিমা মিত্ররা এই দাবিগুলো প্রত্যাখ্যান করেছে।
এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তার কর্মকর্তারা চলতি সপ্তাহে নতুন করে শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন।
যদিও আলোচনার তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি, তবে সম্ভবত তুরস্কের ইস্তাম্বুলে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে।
অন্যদিকে, ট্রাম্প রাশিয়ার উপর শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন এবং ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, যদি ৫০ দিনের মধ্যে শান্তি চুক্তি না হয়, তাহলে তিনি রাশিয়ার বাণিজ্য অংশীদারদের লক্ষ্য করে কঠোর শুল্ক আরোপ করবেন, যা বিশ্ব অর্থনীতিতে মস্কোকে একঘরে করবে।
এছাড়াও, ট্রাম্প ইউরোপীয় মিত্রদের ইউক্রেনকে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করার আহ্বান জানিয়েছেন, যার মধ্যে অত্যাধুনিক প্যাট্রিয়ট বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে উভয়পক্ষই ড্রোন হামলা অব্যাহত রেখেছে।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, তারা রবিবার রাতে রাশিয়ার ছোড়া বেশ কয়েকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে।
একইসাথে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, তারা তাদের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে আসা ইউক্রেনীয় ড্রোনগুলোও ধ্বংস করেছে।
এসব হামলায় হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস