ফেরিতে আগুন: ৫৭৫ জনকে বাঁচানো হলো, ইন্দোনেশিয়ায় ভয়াবহ উদ্ধারকাজ!

ইন্দোনেশিয়ার একটি ফেরিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে তিনজন হয়েছে, এবং এখনো দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন। রবিবার উত্তর সুলাওয়েসি প্রদেশের সমুদ্রের মাঝে ‘কেএম বার্সেলোনা ভি-এ’ নামের ফেরিটিতে আগুন লাগে।

সোমবার পর্যন্ত উদ্ধারকারীরা ৫শ ৭৫ জন যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন।

আগের হিসাবের চেয়ে অনেক বেশি যাত্রী ছিলেন ফেরিটিতে। কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক তথ্যে জানা গিয়েছিল, প্রায় ২৮০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং পাঁচজন নিহত হয়েছেন। তবে, সোমবার দুপুরের দিকে মৃতের সংখ্যা তিনজন নিশ্চিত করা হয়। নিহতদের মধ্যে একজন নারী ছিলেন যিনি অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।

ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীর প্রথম অ্যাডমিরাল ফ্রাঙ্কি পাসুনা সিহম্বিং জানান, প্রায়ই দেখা যায় নৌকায় থাকা যাত্রীর সংখ্যার সঙ্গে কর্তৃপক্ষের হিসাবের মিল থাকে না। অনেক সময় অতিরিক্ত যাত্রী বহন করার কারণে এমনটা হয়।

উদ্ধার অভিযানকে আরও কঠিন করে তোলে এই ধরনের গরমিল।

ফেরিটি মেলঙ্গুয়ানে থেকে মানাদো বন্দরের দিকে যাচ্ছিল। রবিবার দুপুরের দিকে আগুন লাগে।

কোস্টগার্ডের একটি জাহাজ, ছয়টি উদ্ধারকারী ভেসেল এবং কিছু ছোট নৌকার সমন্বয়ে উদ্ধার অভিযান চালানো হয়। স্থানীয় জেলেরা জীবন বাঁচানোর জন্য লাইফ জ্যাকেট পরা অনেক যাত্রীকে উদ্ধার করেন, যারা উত্তাল সমুদ্রে ভেসে ছিলেন।

মানাদো শহরের অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে ২ মাস বয়সী একটি শিশুও ছিল, যার ফুসফুসে সমুদ্রের পানি ঢুকে গিয়েছিল। বর্তমানে শিশুটির অবস্থা স্থিতিশীল।

ফেরিটিতে ৬০০ জন যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ছিল। শুরুতে ফেরির যাত্রী তালিকায় ২৮০ জন যাত্রী ও ১৫ জন ক্রুর নাম নথিভুক্ত ছিল।

ইন্দোনেশিয়া ১৭,০০০-এর বেশি দ্বীপ নিয়ে গঠিত একটি দেশ। এখানে ফেরি যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।

দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে প্রায়ই এখানে নৌ-দুর্ঘটনা ঘটে। গত ১৪ই জুলাই একটি ঝড়ে ১৮ জন যাত্রী সহ একটি স্পিডবোট ডুবে যায়, তবে পরের দিন তাদের উদ্ধার করা হয়।

এর আগে, জুলাই মাসের প্রথম দিকে বালি দ্বীপের কাছে একটি ফেরি ডুবে গেলে কমপক্ষে ১৯ জন মারা যায় এবং ১৬ জন নিখোঁজ হয়।

তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *