আফগানিস্তানে নারীদের পোশাকবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে তালেবানের গ্রেপ্তার নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর থেকে নারীদের পোশাক এবং জনসম্মুখে তাদের আচরণ সংক্রান্ত কঠোর নিয়মকানুন জারি করা হয়েছে।
সম্প্রতি, গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে কাবুলে হিজাব পরার নিয়ম না মানায় বেশ কয়েকজন নারী ও কিশোরীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জাতিসংঘের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ধরনের ঘটনা নারীদের আরও বেশি একঘরে করে তোলে, ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করে এবং জনসাধারণের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরি করে।
জাতিসংঘের মতে, নারীদের মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা খর্ব করে এমন নীতি ও কার্যক্রম অবিলম্বে বাতিল করা উচিত। বিশেষ করে, ষষ্ঠ শ্রেণির উপরের মেয়েদের শিক্ষা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তটি অবিলম্বে প্রত্যাহার করা দরকার।
২০২২ সালের মে মাসে তালেবান সরকার নারীদের জন্য একটি ডিক্রি জারি করে, যেখানে তাদের শুধুমাত্র চোখ প্রদর্শনের অনুমতি দেওয়া হয় এবং পুরো শরীর আবৃত করে বোরকা পরার পরামর্শ দেওয়া হয়।
এর আগে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেশটির ‘নৈতিকতা ও গুণাবলী বিষয়ক মন্ত্রণালয়’ (Ministry of Vice and Virtue) খারাপভাবে হিজাব পরার কারণে নারীদের গ্রেপ্তার করে। তবে কতজন নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা মন্ত্রণালয় জানায়নি।
আফগানিস্তানে জাতিসংঘের মিশন জানিয়েছে, তারা মুক্তি লাভের জন্য নারীদের ওপর নির্যাতন ও অর্থ আদায়ের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে।
উল্লেখ, ২০২১ সালের আগস্ট মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো বাহিনী প্রত্যাহারের পর তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে। এরপর থেকে তারা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টা করছে এবং ইসলামিক আইন তাদের নিজস্ব ব্যাখ্যা অনুযায়ী প্রয়োগ করছে।
সম্প্রতি, রাশিয়া তালেবান সরকারকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস।