যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ডেমোক্র্যাটদের কড়া সমালোচনা করলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেন। বিশেষ করে দলের কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং অভিনেতা জর্জ ক্লুনির প্রতি তার ক্ষোভ ছিল সবচেয়ে বেশি। সম্প্রতি কয়েকটি সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেন। খবরটি দিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি।
হান্টার বাইডেন তার বাবার গত বছরের নির্বাচনী প্রচারণার ধরন নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তার মতে, দলের কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং উপদেষ্টাদের কারণে তার বাবার ভাবমূর্তিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে, অভিনেতা জর্জ ক্লুনির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ক্লুনি কেন প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে ২০২৪ সালের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর পরামর্শ দিলেন, তা তিনি বুঝতে পারেন না।
হান্টার বাইডেন মনে করেন, ক্লুনির এই ধরনের পদক্ষেপ বাইডেনের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের প্রতি অবিচার করেছে।
সাক্ষাৎকারে হান্টার বাইডেন ডেমোক্রেটিক পার্টির কিছু উপদেষ্টার সমালোচনাও করেন। তিনি অভিযোগ করেন, এই উপদেষ্টারা দলের হয়ে কাজ করা থেকে বেশি নিজেদের স্বার্থের দিকে নজর দেন। তাদের কেউ কেউ নাকি দলের হয়ে কাজ করে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেছেন।
এই বিষয়ে তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন একজন সিনিয়র উপদেষ্টা, যিনি ডেমোক্রেটিক পার্টির হয়ে কাজ করে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন।
২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বিতর্কের ফলাফল নিয়েও কথা বলেন হান্টার বাইডেন। তিনি জানান, বিতর্কের আগে তার বাবা সম্ভবত ঘুমের ওষুধ ‘অ্যাম্বিয়েন’ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার শিকার হয়েছিলেন। বিতর্কের সময় তার বাবার শারীরিক অবস্থা দেখে অনেকেই হতাশ হয়েছিলেন।
সাক্ষাৎকারে হান্টার বাইডেন আরও জানান, তার বাবা নির্বাচনে জিততে পারতেন, কিন্তু তিনি দলের বৃহত্তর স্বার্থের কথা ভেবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এদিকে, এই সাক্ষাৎকারগুলো এমন এক সময়ে প্রকাশিত হলো, যখন লস অ্যাঞ্জেলেস ফেডারেল আদালতে একটি মামলার শুনানি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এই মামলায় হান্টার বাইডেন, ওভারস্টক.কম-এর সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্যাট্রিক বাইর্নের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ এনেছেন।
বাইর্ন-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি মিথ্যাভাবে দাবি করেছিলেন যে হান্টার বাইডেন ইরানের সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার বাবার মাধ্যমে তাদের ৮ বিলিয়ন ডলার তহবিল পুনরুদ্ধারের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার ছেলের বিরুদ্ধে ওঠা অস্ত্র ও কর ফাঁকির অভিযোগের শাস্তি মওকুফ করেছেন। এই ঘটনাও নির্বাচনের আগে বেশ আলোচনা তৈরি করেছিল।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস
